মুস্তাফিজ-সৌম্যে আইরিশদের উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডকে কম রানে বেঁধে রেখে আসল কাজটা করে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজারা। বাকিটা ঠিকঠাক সেরেছেন তামিম-সৌম্যরা। আইরিশদের উড়িয়ে দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2017, 09:26 AM
Updated : 20 May 2017, 03:37 AM

ম্যালাহাইডের সবুজ উইকেটে শুক্রবার নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয়টি ৮ উইকেটের।

ম্যাচ শুরুর আগে তামিম ইকবাল বলছিলেন, দুটি ইনিংস খেলার সুযোগ মেলায় ব্যাটসম্যানরা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে খেলতে হবে। টপ অর্ডারের ব্যাটিংয়ে দেখা গেছে তার প্রমাণ।

ম্যাচ শেষ করে এসেছেন সৌম্য সরকার। তার সঙ্গে তামিম ৯৫ ও সাব্বির ৭৬ রানের দুটি আক্রমণাত্মক জুটি উপহার দিয়েছেন। সবুজ উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ভোগাতে পারেননি আইরিশ বোলাররা। বাজে বলগুলো কাজে লাগিয়ে উল্টো তাদের চাপে রেখেছিলেন সৌম্যরা।

৮৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য। তার ফ্লিক, আপারকাটগুলো ছিল দুর্দান্ত। ৬৮ বলের ইনিংসে হাঁকিয়েছেন ১১টি চার ও দুটি ছক্কা।

দুই ম্যাচে টানা দুই জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে শীর্ষে রয়েছে নিউ জিল্যান্ড। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট বাংলাদেশের। পরিত্যক্ত প্রথম ম্যাচ থেকে ২ পয়েন্ট নিয়ে সবার নিচে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ (জয়েস ৪৬, স্টার্লিং ০, পোর্টারফিল্ড ২২, বালবার্নি ১২, নায়াল ৩০, কেভিন ১০, উইলসন ৬, ডকরেল ২৫, ম্যাকার্থি ১২, মারটাগ ৫*, চেইস ০; রুবেল ০/৪১, মুস্তাফিজ ৪/২৩, মাশরাফি ২/১৮, মোসাদ্দেক ১/২১, সাকিব ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, সানজামুল ২/২২)

বাংলাদেশ: ২৭.১ ওভারে ১৮২/২ (তামিম ৪৭, সৌম্য ৮৭*, সাব্বির ৩৫, মুশফিক ৩*; চেইস ০/৫৫, মারটাগ ০/২৬, ম্যাকার্থি ১/৪২, স্টার্লিং ০/১৪, কেভিন ১/২২, ডকরেল ০/২০)

ফিরে যাওয়ার আগে রানে ফিরলেন সাব্বির

দ্রুত ম্যাচ করার চেষ্টায় ফিরে যান সাব্বির রহমান। আগের দুই ম্যাচে শূন্য ও ১ রানে ফেরা ডানহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান এবার করেছেন ৩৫ রান। তার ৩৪ বলের ইনিংসটি সাজানো তিনটি চার ও একটি ছক্কায়।

২৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৭১/২। ৭৯ রানে অপরাজিত সৌম্য সরকারের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।

সৌম্য-সাব্বিরের অর্ধশত রানের জুটি

দ্বিতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া সাব্বির একটু সতর্ক। ৫৭ রানে জীবন পাওয়া সৌম্য সুযোগ পেলেই চড়াও হচ্ছেন বোলারের ওপর।

২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১৪৭ রান।

সৌম্যর অর্ধশতক

ত্রিদেশীয় সিরিজে টানা অর্ধশতক পেলেন সৌম্য সরকার। ৪০ বলে পঞ্চাশে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। সে সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৬টি চার ও দুটি ছক্কা।

বাংলাদেশের একশ

ষোড়শ ওভারে তিন অঙ্কে যায় বাংলাদেশের স্কোর। ৯ ওভারে এসেছিল তাদের অর্ধশতক। ১৬ ওভার শেষে দলের স্কোর ১০৮/১।

ভালো শুরু দিয়ে ফিরলেন তামিম

ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দলকে ভালো শুরু এনে দিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। কেভিন ও’ব্রায়েনের গুড লেংথ বলে উইকেটরক্ষক নায়াল ও’ব্রায়ানের গ্লাভসবন্দি হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার বিদায় ভেঙেছে ৯৫ রানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।   

৫৪ বলে খেলা তামিমের ৪৭ রানের ইনিংসটি গড়া ৬টি চারে।

১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৫/১। ৪০ রানে অপরাজিত সৌম্য সরকারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন সাব্বির রহমান।

তামিম-সৌম্যর অর্ধশত রানের জুটি

এক প্রান্তে সতর্ক তামিম ইকবাল। অন্য প্রান্তে বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন সৌম্য সরকার। দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ছোট লক্ষ্য তাড়ায় ভালো সূচনা এনে দিয়েছেন দলকে।

নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্যারি ম্যাকার্থিকে লং লেগ দিয়ে উড়িয়ে জুটিকে অর্ধশত রানে নিয়ে যান সৌম্য। 

৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৮/০। জয়ের জন্য আরও ১২৪ রান চাই তাদের। তামিম ৩৫ বলে ২৪ ও সৌম্য ১৯ বলে ২৭ রানে ব্যাট করছেন।

১৮১ রানে আয়ারল্যান্ডকে গুটিয়ে দিল বাংলাদেশ

মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও অভিষিক্ত সানজামুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে হাতের নাগালে লক্ষ্য পেয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের জন্য তাদের চাই ১৮২ রান।

২৩ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। আগের ম্যাচে ওভার প্রতি ৮.৯২ করে রান দেওয়া মাশরাফি এবার করেছেন আঁটসাঁট বোলিং। রান দিয়েছেন ২.৭৬ করে, নিয়েছেন ২ উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ২ উইকেট নেন ২২ রানে।

৬১ রানে ৩ উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ড প্রতিরোধ গড়েছিল এড জয়েস ও নায়াল ও’ব্রায়ানের ব্যাটে। মুস্তাফিজ সেই প্রতিরোধ ভাঙার পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। তারা শেষ ৭ উইকেট হারায় ৬৫ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আয়ারল্যান্ড: ৪৬.৩ ওভারে ১৮১ (জয়েস ৪৬, স্টার্লিং ০, পোর্টারফিল্ড ২২, বালবার্নি ১২, নায়াল ৩০, কেভিন ১০, উইলসন ৬, ডকরেল ২৫, ম্যাকার্থি ১২, মারটাগ ৫*, চেইস ০; রুবেল ০/৪১, মুস্তাফিজ ৪/২৩, মাশরাফি ২/১৮, মোসাদ্দেক ১/২১, সাকিব ১/৩৮, মাহমুদউল্লাহ ০/১৩, সানজামুল ২/২২)

মাশরাফির জোড়া উইকেট

আগের ম্যাচে বাজে দিন কাটানো মাশরাফি বিন মুর্তজা ফিরেছেন চেনা ছন্দে। আঁটসাঁট বোলিং করা অধিনায়ক জোড়া উইকেট নিয়ে দুইশ রানের আগেই থামিয়েছেন আয়ারল্যান্ডকে।

মাশরাফির ওপর চড়াও হতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমকে সহজ ক্যাচ দেন জর্জ ডকরেল। ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান পিটার চেইস ফিরেন উইকেটরক্ষকের ডাইভিং ক্যাচে।

সানজামুলের দ্বিতীয় শিকার ম্যাকার্থি

অষ্টম উইকেট জুটির প্রতিরোধ ভেঙেছেন সানজামুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসার এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন ব্যারি ম্যাকার্থিকে। ১২ রান করে তার বিদায়ে ভাঙে ৩৫ রানের জুটি।

২২ রানে অপরাজিত জর্জ ডকরেলে সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন টিম মারটাগ।

মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার উইলসন

আয়ারল্যান্ডের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান গ্যারি উইলসনকেও ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তার শর্ট বলে ক্যাচ গ্লাভসে নেন মুশফিকুর রহিম।

রিপ্লেতে দেখে মনে হয়েছে ৬ রান করা উইলসনের ব্যাট ছোঁয়নি বল, ক্যাচ গেছে গায়ে লেগে। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজের চতুর্থ শিকার।

৩৩ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১৩৬/৭। ১ রানে অপরাজিত জর্জ ডকরেলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ব্যারি ম্যাকার্থি।

মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার কেভিন

উইকেটটি পেতে পারতেন আগের ওভারেই। সেবার একটুর জন্য কেভিন ও’ব্রায়েনের ক্যাচ সাব্বির রহমানের হাতে যায়নি।  এবার আকাশে তুলে দিয়ে মোসাদ্দেক হোসেনের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হল আইরিশ অলরাউন্ডার।

১১ বলে একটি চারে ১০ রান করে ফিরলেন কেভিন। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মুস্তাফিজের তৃতীয় শিকার।

৩২ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১৩৪/৬। ৫ রানে অপরাজিত গ্যারি উইলসনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন জর্জ ডকরেল।

প্রথম ওভারেই সানজামুলের উইকেট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়েছেন সানজামুল ইসলাম। দেশের ১২৪তম ওয়ানডে ক্রিকেটারকে অধিনায়ক বোলিংয়ে আনেন অনেক দেরিতে, ২৯ ওভারে। সেই ওভারের শেষ বলে এড জয়েসকে ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি এই স্পিনার।

চোট কাটিয়ে ফেরা জয়েস ছিলেন অর্ধশতকের পথে। লং অন দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টাইমিং করতে পারেননি, উঠে যায় আকাশে। দুই হাতে মুঠোয় জমান তামিম।

২৯ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১২৬/৫। কেভিন ও’ব্রায়েনের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন  গ্যারি উইলসন।

নায়ালকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

নায়াল ও’ব্রায়ানকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠা জুটি ভেঙেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারকে উড়ানোর চেষ্টায় তামিম ইকবালের চমৎকার ক্যাচে পরিণত হন শূন্য রানে জীবন পাওয়া আইরিশ ব্যাটসম্যান।

৪২ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৩০ রান করে ফিরেন নায়াল।

২৮তম ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১১৮/৪। এড জয়েস ৪৪ ও কেভিন ও’ব্রায়েন ২ রানে অপরাজিত।

আয়ারল্যান্ডের একশ

আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ তিন অঙ্কে গেছে ২৫তম ওভারে। দ্রুত ৩ উইকেট হারানো দলটিকে এগিয়ে নিচ্ছেন এড জয়েস ও নায়াল ও’ব্রায়েন।

২৫ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডে সংগ্রহ ১০২/৩। জয়েস ৩৫ ও শূন্য রানে জীবন পাওয়া নায়াল ২৫ রানে অপরাজিত।

নায়ালকে শূন্য রানে জীবন দিলেন মুশফিক

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে শতক করা নায়াল ও’ব্রায়েনকে শূন্য রানে জীবন দিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসানের সেই ওভারেই ক্রিজে আসা বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটের কানায় লেগে আসা ক্যাচ গ্লাভসে নিতে পারেননি বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক।

দ্বিতীয় ওভারে সাকিবের আঘাত

সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারে মিড উইকেট দিয়ে তাকে উড়িয়েছিলেন অ্যান্ডি বালবার্নি। পরের ওভারে ফিরে বাঁহাতি স্পিনার নিয়েছেন মধুর প্রতিশোধ। দারুণ এক ডেলিভারিতে উড়িয়ে দিয়েছেন বেলস।

২৪ বলে ওই এক ছক্কায় ১২ রান করে ফিরেন বালবার্নি। ১৫ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৬২/৩।

দ্রুত পুষিয়ে দিলেন মোসাদ্দেক

আগের ওভারেই মোসাদ্দেক হোসেন ছেড়েছিলেন সহজ ক্যাচ। পরের ওভারে তার হাতেই বল তুলে দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। দ্রুত পুষিয়ে দেওয়ার সুযোগ দুই হাতে কাজে লাগিয়েছেন তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

২১ রানে জীবন পাওয়া উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ফিরেছেন ১ রান যোগ করেই। সহজ ফিরতি ক্যাচ ধরতে এবার কোনো ভুল করেননি মোসাদ্দেক।

৯ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৩৮ রান।

সহজ ক্যাচ ছাড়লেন মোসাদ্দেক

আগের ওভারে ছক্কা হজমের প্রতিশোধ একটুর জন্য নেওয়া হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। অধিনায়কের বলে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি দলের সেরা ফিল্ডারের একজন মোসাদ্দেক হোসেন।

প্রথম আঘাত মুস্তাফিজের

সবুজ উইকেটে রুবেল হোসেনের প্রথম ওভারটি ছিল মেডেন। মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় ওভারটিও মেডেন, সঙ্গে নিয়েছেন একটি উইকেটও।

অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে সাব্বির রহমানের হাতে ধরা পড়েন পল স্টার্লিং। বাড়তি বাউন্সে ঠিক এই ধরনের খোঁচার জন্যই ওয়াইড স্লিপে দাঁড় করানো হয়েছিল দলের সেরা ফিল্ডার সাব্বিরকে।

রুবেলের হাতে নতুন বল

২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিলের পর এই প্রথম কোনো ওয়ানডেতে দলের প্রথম ওভার করার সুযোগ পেলেন রুবেল হোসেন। পুরো ক্যারিয়ারে এ নিয়ে মোটে চতুর্থবার প্রথম ওভার করলেন ডানহাতি এই পেসার।

মিরাজ বাদ, সানজামুলের অভিষেক

আগের ম্যাচের উইকেটশূন্য তরুণ অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান বাদ পড়েছেন। তার জায়গায় অভিষেক হচ্ছে সানজামুল ইসলামের। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৬৪ ম্যাচে ৮০ উইকেট নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, সানজামুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নিজেদের আগের দুই ম্যাচেই টস হেরে আগে ব্যাটিং করেছিল বাংলাদেশ। 

প্রথম জয়ের সন্ধানে বাংলাদেশ

ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম জয়ের আশায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের প্রথম ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হারে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২২ ওভার বল করে কোনো উইকেট পাননি বাংলাদেশের স্পিনাররা। বিরল বাজে দিন কাটিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন চমৎকার বোলিং করেছেন। 

অর্ধশতক করলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেন সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম। থিতুই হতে পারেননি সাব্বির রহমান, সাকিব আল হাসান। মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে আড়াইশ ছাড়িয়েছিল দলের সংগ্রহ।

মাশরাফির বিশ্বাস, ব্যাটিং-বোলিংয়ে আরও অনেক সম্ভব। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুই বিভাগেই অনেক উন্নতিতে নজর তার।