খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। ফতুল্লায় দারুণ বোলিংয়ে খেলাঘরকে বেধে ফেলে তারা ১৭৮ রানেই। সেই রান তাড়া করে ফেলে তারা তুড়ি বাজিয়েই।
১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইমতিয়াজ। এমনিতে ধীরে-সুস্থে খেলার জন্য পরিচিত হলেও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান এদিন খেলেছেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। সেঞ্চুরি করেছেন ৯১ বলে!
অধিনায়ক নাফিস ইকবালকে ফিরে পেলেও এদিন শুরু থেকে ধুঁকেছে খেলাঘরের ব্যাটিং। নতুন বলে আরাফাত সানি নিজের প্রথম ওভারেই নেন উইকেট। সঙ্গে ফরহাদ রেজা ও দেলোয়ার হোসেনের বোলিংয়ে ৬৯ রানে হারায় ৪ উইকেটে।
যা একটু পাল্টা জবাব দিয়েছেন অমিত মজুমদার। মৌসুমে খেলাঘরের সেরা ব্যাটসম্যন এদিনও দারুণ খেলে ৮৬ বলে করেছেন ৭৩। শ্রীলঙ্কান সুরজ রনদিভের সঙ্গে ৫ম উইকেটে তুলেছেন ৭০ রান।
এই দুজনের বিদায়ের পর আবার ভেঙে পড়ে ইনিংস। শেষ ৫ উইকেট পড়েছে ১১ রানে।
শেষ দিকে ছোবল দিয়েছেন চতুরঙ্গা ডি সিলভা। ৩ উইকেট নিয়েছেন এই শ্রীলঙ্কানও।
সহজ লক্ষ্যটা আরও সহজ হয়েছে দোলেশ্বরের দুই ওপেনারের ব্যাটে। স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন ইমতিয়াজ, আব্দুল মজিদ দিয়ে গেছেন সঙ্গ। তাতেই শেষ খেলা।
১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৯৯ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত ইমতিয়াজ। তার চতুর্থ লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত মজিদ।
এবারের লিগে ১০ উইকেটের জয় এটিই প্রথম। ১০ ম্যাচে দোলেশ্বরের জয় ৭টি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খেলাঘর: ৪৫.৩ ওভারে ১৭৮ (রবিউল ১৪, পাপ্পু ০, নাফিস ১৭, অমিত ৭৩, নাজিমউদ্দিন ৯, রনদিভ ৪১, ডলার ৯, মাসুম ৪, সাদিকুর ২, তানভির ৩, শামসুল ১*; ফরহাদ ২/৩৭, সানি ৩/১৪, এনামুল ০/২০, দেলোয়ার ১/৩০, শরিফুল্লাহ ১/৪৬, চতুরঙ্গা ৩/২৯)।
প্রাইম দোলেশ্বর: ৩৩.১ ওভারে ১৮১/০ (ইমতিয়াজ ১০৭*, মজিদ ৬৪*; তানভির ০/৪৩, রনদিভ ০/৩১, শামসুল ০/৫৩, ডলার ০/৮, সাদিকুর ০/২৪, মাসুম ০/১৭)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমতিয়াজ হোসেন