নিউ জিল্যান্ডকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি

স্মৃতিটা হয়ত এখন অতটা টাটকা নয়। তবে ভুলে যাওয়ার মতো পুরোনোও হয়নি। এই তো মাস চারেক আগে নিউ জিল্যান্ড থেকে ভাঙা আঙুল নিয়ে ফিরেছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভেতরটাও ছিল ভঙ্গুর। সীমিত ওভারের সিরিজে সব ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2017, 01:22 PM
Updated : 16 May 2017, 03:14 PM

ভেঙে যাওয়া সেই আঙুল জোড়া লেগেছে। তবে হৃদয়ের চোট এখনই সেরে যাওয়ার কারণ নেই। সেই ক্ষতে প্রলেপ লাগানোর সুযোগ অবশ্য এসেছে। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে বুধবার বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সেই নিউ জিল্যান্ড।

ম্যাচের ভেন্যু ডাবলিনের ক্লনটার্ফ ক্রিকেট গ্রাউন্ডেই মঙ্গলবার অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। নিষেধাজ্ঞার খাড়া কাটিয়ে এই ম্যাচে আবার টস করবেন মাশরাফি। কন্ডিশন যদিও এখানে নিউ জিল্যান্ডের মতোই, বা আরও বেশি কঠিন। তার পরও আত্মবিশ্বাসী অধিনায়ক।

“অবশ্যই আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমি বিশ্বাস করি, আমার দল বিশ্বাস করে যারা ভালো দল তারা সব জায়গায় ভালো করতে পারে। কন্ডিশন অবশ্যই অনেক বড় ব্যাপার। তার পরও নিজেদের সামর্থ্যে আমাদের আস্থা আছে। আমাদের টপ অর্ডারে যারা আছে বা বোলারদের যা স্কিল, তাতে আশা করি ভালো কিছু হবে।”

নিউ জিল্যান্ডের খর্ব শক্তির স্কোয়াড বাংলাদেশকে এনে দিচ্ছে বড় সুযোগ। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিল, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোরি অ্যান্ডারসনরা এই সিরিজে নেই আইপিএলের কারণে। মাশরাফি অবশ্য তার পরও মনে করছেন না সহজ হবে কাজ।

“নিউ জিল্যান্ড অবশ্যই ভালো দল। পেশাদার দল। র‌্যাঙ্কিংয়েও ভালো জায়গায় আছে। তাদের হয়ত শীর্ষ কয়েকজন ক্রিকেটার নেই, তার পরও ওদের সঙ্গে সবশেষ যে সিরিজ খেলেছি, তাদের বেশির ভাগই খেলছে। রস টেলর ছিল না, এখন যোগ হয়েছে।”

 

প্রতিপক্ষ পূর্ণশক্তির না হলেও আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশন ঠিকই হয়ে দাঁড়িয়েছে বড় প্র্রতিপক্ষ। এর চেয়েও বড় ভোগান্তি অপ্রতুল সুযোগ-সুবিধা। অনুশীলনে, হোটেলে, এমনকি ম্যচের দিনও ওখানকার সুযোগ-সুবিধা আন্তর্জাতিক মানের নয়। যেটি নিয়ে বিস্তর অভিযোগ জানিয়েও সুরাহা কিছু পায়নি বাংলাদেশ ও নিউ জিল্যান্ড, দুই দলই।

এসবের মধ্যেও ভালো করায় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক।

“আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি ম্যাচ জয়। যদিও কন্ডিশন এখানে প্রতিকূল, সুযোগ-সুবিধা আপ টু দি মার্ক ছিল না, তার পরও আমরা চেষ্টা করেছি সীমাবদ্ধতার মধ্যেও যথা সম্ভব প্রস্তুতি নেওয়ার।”

সেই প্রস্তুতির প্রতিফলন এবার মাঠে রাখার পালা। শুধু এই টুর্নামেন্টের জন্য বা চ্যাম্পিন্স ট্রফির প্রস্তুতির জন্যই নয়, নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ ২০১৯ বিশ্বকাপের দিকে চোখ রেখেও। র‌্যাঙ্কিংয়ের চারে থাকা কিউইদের দুটি ম্যাচে হারাতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।