শেষ ওভারে ব্রাদার্সের দরকার ছিল ১১ রান। প্রথম বলে এক রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন ধীমান ঘোষ। পরের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণ সহজ করে ফেলেন নিহাদউজ্জামান।
তৃতীয় বলটি ডট, পরের বলে আসে দুই রান। পঞ্চম বলটি আবার ডট। ষষ্ঠ বলে উড়ানোর চেষ্টায় নিহাদউজ্জামান ধরা পড়েন তাইবুর রহমানের হাতে। হারতে বসা ম্যাচে দারুণ এক জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংকের সপ্তম জয়। অন্য দিকে ব্রাদার্সের ষষ্ঠ পরাজয়।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে ব্রাদার্সকে পথ দেখান জুনায়েদ সিদ্দিক। বাঁহাতি এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৬টি চারে ৬৭ বলে করেন ৫১ রান। মাঝে দলকে টানেন অলক কাপালী, মানভিন্দর বিসলা ও মাইশুকুর রহমান।
৪৮ বলে ৬টি চারে কাপালী ফিরেন ৪৬ রানে। ৪৭ বলে তিনটি করে ছক্কা-চারে বিসলা খেলেন ৫৭ রানের চমৎকার এক ইনিংস। মাইশুকুর বিদায় নেন ৪৫ বলে ৩৬ রান করে।
শেষে নায়ক হওয়ার সুযোগ এসেছিল নিহাদউজ্জামানের সামনে। পারেননি তিনি। অসাধারণ এক শেষ ওভারে ব্রাদার্সের জয় কেড়ে নিয়েছেন অলরাউন্ডার আরিফুল।
এর আগে মেহেদী মারুফের অর্ধশতকে শুরুটা ভালো হয় প্রাইম ব্যাংকের। ৬টি চার ও দুটি ছক্কায় অধিনায়ক ফিরেন ৫৮ রান করে।
৫০ বলে ৬টি চারে ৫২ রান করে ফিরেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জাকির। তার বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকেননি ঈশ্বরণ। ৬৮ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ফিরেন ৭০ রান করে। দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়া এই ইনিংসে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
বাঁহাতি স্পিনার নিহাদউজ্জামান ৩ উইকেট নেন ৪৯ রানে। লেগ স্পিনে অধিনায়ক কাপালী ২ উইকেট নেন ৩৩ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৩ ওভারে ২৪৯/৬ (মারুফ ৫৮, শানাজ ২১, ঈশ্বরণ ৭০, আল আমিন জুনিয়র ২, জাকির ৫২, আরিফুল ১৪, সালমান ১৬, আসিফ ৫*; সাদ্দাম ১/৪৫, মাইশুকুর ০/১৭, নিহাদউজ্জামান ৩/৪৯, নাসুম ০/৩৪, কাপালী ২/৩৩, বিসলা ০/৪২, সাজ্জাদ ০/২৩)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ৪৩ ওভারে ২৪৮/৮ (মিজানুর ১২, জুনায়েদ ৫১, ফরহাদ ৪, কাপালী ৪৬, বিসলা ৫৭, মাইশুকুর ৩৬, ধীমান ১৪*, সাদ্দাম ৬, নিহাদউজ্জামান ৮; আল আমিন ২/৪৪, আসিফ ১/২৮, নাজমুল ০/৩৮, আল আমিন ১/৩৫, তাইবুর ১/৪৬, আরিফুল ২/৫০, সালমান ০/৫)
ফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অভিমন্যু ঈশ্বরণ