নিউ জিল্যান্ডে কাছাকাছি কন্ডিশনে তিন ম্যাচে ৪ রান করে ওয়ানডে দলে জায়গা হারাতে বসা মাহমুদউল্লাহ আরও একবার দলের বিপদে দাঁড়িয়ে গেছেন। দুই জনের জমে উঠা জুটি থামিয়েছে বৃষ্টি, ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ম্যাচ।
৩১.১ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৭ রান করে বাংলাদেশ। এরপর বৃষ্টি নামলে তিন ঘণ্টার বেশি সময় অপেক্ষার পর ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন দুই আম্পায়ার। দুই দল পেয়েছে দুই পয়েন্ট করে।
দ্বিতীয় ওভারেই ফিরেন সৌম্য সরকার। পিটার চেইসের শর্ট বলে ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক নায়াল ও’ব্রায়েনকে।
প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক শতক পাওয়া সাব্বির রহমান টিকেন মাত্র তিন বল। শর্ট বলে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেওয়ায় লাগে হেলমেটে। পরের বলে চেইসকে উড়ানোর চেষ্টায় দৃষ্টিকটু শটে ফিরেন আকাশে তুলে দিয়ে। ৯ রানে নেই বাংলাদেশের ২ উইকেট।
মুশফিকের বিদায়ে ভাঙে ৩৮ রানের সম্ভাবনা জাগানো জুটি। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া সাকিব স্পর্শ করেন এক মাইল ফলক- ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে অর্ধশতক।
সাকিব খেলেছেন নিজের মতোই। চেইসকে পরপর দুই চার হাঁকিয়ে চাপটা সরিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরের বলেই বাজে এক শটে নিজের উইকেট এক রকম উপহার দিয়ে আসেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার।
মাহমুদউল্লাহ ক্রিজে আসার সময় ধুঁকছিল বাংলাদেশ। ৭০ রানে নেই ৪ উইকেট। সেখান থেকে অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেটে তামিমের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটিতে দলকে ফিরিয়েছিলেন কক্ষপক্ষে।
ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরুতে শুরু করেন তামিম, নিজেকে তখন খানিকটা গুটিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৬ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।
৭৬ বলে ৭টি চারে নিজের ৩৫তম অর্ধশতকে পৌঁছান তামিম। বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ৮৮ বলে ৮টি চারে অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে।
আউটফিল্ড থেকে আলাদা করা যায় না এমন সবুজ উইকেটে শুরুতে বাংলাদেশকে কাঁপিয়ে দেওয়া চেইস ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে। অন্য উইকেটটি ম্যাকার্থির। বাঁহাতি স্পিনার জর্জ ডকরেল বোলিং করার সময় দেখা গেছে স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা আছে।
আগামী রোববার নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে আয়ারল্যান্ড। বুধবারের ম্যাচে মাশরাফিদের প্রতিপক্ষে আইসিসি ওয়ানডে র্যা ঙ্কিংয়ে চার নম্বরে থাকা নিউ জিল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৩১.১ ওভারে ১৫৭/৪ (তামিম ৬৪*, সৌম্য ৫, সাব্বির ১৩, সাকিব ১৪, মাহমুদউল্লাহ ৪৩*; মারটাগ ০/২৩, চেইস ৩/৩৩, ম্যাকার্থি ১/৪৩, কেভিন ০/১২, টম্পসন ০/১৯, ডকরেল ০/২৪)
ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত