২ উইকেটে জিতে সুপার সিক্সে খেলার সম্ভাবনা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে মোহামেডান। নয় ম্যাচে ষষ্ঠ জয় পেয়েছে দলটি, সমান ম্যাচে অষ্টম হারের স্বাদ পাওয়া পারটেক্সের রেলিগেশন লিগ খেলা একরকম নিশ্চিত।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তিন বল বাকি থাকতে ২২৯ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স। জবাবে ৪৮ ওভার ২ বলে ৮ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান।
লক্ষ্য তাড়ায় ১৬ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে মোহামেডান। থিতু হয়ে অভিষেক মিত্র, চারিথ আসালঙ্কা, আগের ম্যাচে ১৯০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলা রকিবুল হাসানের বিদায়ে বিপদে পড়ে দলটি।
রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন মিলনও ফিরেন দুই অঙ্কে গিয়ে। ১৫২ রানে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানকে হারানো মোহামেডানের ত্রাতা তাইজুল-সাজেদুল ইসলাম। ১৩.৪ ওভারে দুই জনে গড়েন ৭৬ রানের চমৎকার এক জুটি।
৩৯ বলে একটি চারে ২৭ রান করে ফিরেন সাজেদুল। তার বিদায়ের পর ছক্কায় দলকে দারুণ এক জয় এনে দেন ম্যাচ সেরা তাইজুল। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের প্রথম অর্ধশতক পাওয়া এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকেন ৫৭ রানে। তার ৫১ বলের ইনিংসটি গড়া ৪টি চার ও দুটি ছক্কায়।
এর আগে রনি তালুকদারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় পারটেক্স। সাজ্জাদ হোসেন ও ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে এক সময়ে দলটির স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১০৯ রান।
পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ভালো শুরুর সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটি। শেষের দিকে রাকিন আহমেদের অপরাজিত ৪৬ রানের ওপর ভর করে লড়াইয়ের পুঁজি পায় পারটেক্স।
শুরুতে খরুচে বোলিং করা কামরুল ইসলাম রাব্বি শেষটায় ছন্দে ফিরেন। ৫৪ রানে নেন ৩ উইকেট। তাইজুল ও আসালঙ্কা নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৯.৩ ওভারে ২২৯ (জনি ২৮, যতিন ৪, সাজ্জাদ ৩৬, ইরফান ৪০, রাজিবুল ১৪, সাজ্জাদুল ২৪,মাসুম ২৩, রাকিন ৪৬, বিশ্বনাথ ৯, ইমরান ০, মামুন ১; রাব্বি ৩/৫৪, তাইজুল ২/৩৬, আসালঙ্কা ২/৫৩, সাজেদুল ১/৩৭, এনাম জুনিয়র ১/৩৭, শামসুর ০/১১)
মোহামেডান: ৪৮.২ ওভারে ২৩৪/৮ (অভিষেক ২৩, সৈকত ৫, শামসুর ১, আসালঙ্কা ৪৭, রাকিবুল ৩৪, রনি ১৬, নাজমুল ১০, তাইজুল ৫৭*, সাজেদুল ২৭, রাব্বি ০*; মামুন ১/৫৪, মাসুম ১/৩৮, বিশ্বনাথ ১/২৯, রাজিবুল ১/৩৫, ইমরান ২/৩৬, যতিন ২.৩৬)
ফল: মোহামেডান ২ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাইজুল ইসলাম