নয় ম্যাচে ষষ্ঠ জয়ে চার নম্বরে উঠে এসেছে দোলেশ্বর। ১০ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে আছে রূপগঞ্জ।
দুই দলের শেষের ১০ ওভার পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। ৪০ ওভার শেষে দুই দলেরই স্কোর ছিল সমান ১৭৬/৪। দোলেশ্বর শেষ ১০ ওভারে ১০০ রান সংগ্রহ করে, রূপগঞ্জ ৭১।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১ বল বাকি থাকতে ২৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায় দোলেশ্বর। জবাবে ৬ উইকেটে ২৪৭ রান করে রূপগঞ্জ।
লক্ষ্য তাড়ায় হাসানুজ্জামানের ব্যাটে শুরুটা ভালো হয়েছিল রূপগঞ্জের। তিনটি করে ছক্কা-চারে ৬৩ বলে ৫০ রান করে ফিরেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান।
মোশাররফ, রাজা আলি দারের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়া রূপগঞ্জ প্রতিরোধ গড়ে নাঈম ইসলাম ও ইয়াসির আলী চৌধুরীর ব্যাটে। তবে রানের গতি বাড়ানোর কাজটা করতে পারেননি তারা।
আশা হয়ে টিকে থাকা অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ফিরেন ৭৮ রান করে। তার ৮৫ বলের ইনিংসটি গড়া ৩টি চার ও দুটি ছক্কায়। এরপর আর পেরে উঠেনি রূপগঞ্জ।
শরিফউল্লাহ ৩ উইকেট নেন ৩২ রানে। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্য তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এর আগে দলীয় প্রচেষ্টায় লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে দোলেশ্বর। দলটির প্রথম নয় ব্যাটসম্যানের সবাই যান দুই অঙ্কে।
৩৭ রানে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর দলকে পথ দেখান মার্শাল আইয়ুব। আটটি চারে ফিরেন ৬০ রান করে।
তার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়া শরিফউল্লাহ ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে দলকে নিয়ে যান পৌনে তিনশ রানে। ৭৩ বলে খেলা এই অলরাউন্ডারের ৮২ রানের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চারে।
৫৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রূপগঞ্জের সেরা বোলার মোশাররফ। দুটি করে উইকেট নেন রাজা আলি দার ও মোহাম্মদ শরীফ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৯.৫ ওভারে ২৭৬ (ইমতিয়াজ ২৪, মজিদ ১১, শাহরিয়ার ৩১, মার্শাল ৬০, শরিফউল্লাহ ৮২, জাকের ৩০, চতুরঙ্গ ১৩, রেজা ১৩, এনামুল ১১, হাবিবুর ০, সানি ০*; শরীফ ২/৬৯, রাজা ২/৪৬, রাসেল ০/২৮, মোশাররফ ৫/৫৭, মাহমুদুল ০/২২, আসিফ ০/৫৪)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ২৪৭/৬ (হাসানুজ্জামান ৫০, পিনাক ১৯, নাঈম ৭৮, মোশররফ ২, রাজা ১৬, ইয়াসির ৪৪, শরীফ ২২*, মাহমুদুল ১০*; রেজা ০/৫৪, সানি ১/৫৬, এনামুল ০/৩১, চতুরঙ্গ ০/৩৯, হাবিবুর ১/২৩, মার্শাল ০/১০, শরিফউল্লাহ ৩/৩২)
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ২৯ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শরিফউল্লাহ।