তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬৯ রান। আজহার ৮৫ ও ইউনুস ১০ রানে ব্যাট করছেন।
টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতে উইকেটে থাকা সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি। সতর্ক ব্যাটিংয়ে বিপজ্জনক সেই সময়টা পার করে দেন আজহার। উদ্বোধনী জুটিতে তার সঙ্গী শান মাসুদ অবশ্য পারেননি।
সি সিকনেসে ভোগায় এই ম্যাচে খেলছেন না আহমেদ শেহজাদ। তার জায়গায় খেলতে নেমে রোস্টন চেইসের বলে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মাসুদ।
উইকেটে স্পিনারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা আছে। নতুন বলে টার্ন, বাউন্স পেয়েছেন অফ স্পিনার চেইস। লেগ স্পিনার দেবেন্দ্র বিশু প্রথম দিন সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি। দ্বিতীয় দিন তিনিই সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারেন।
আগের টেস্টে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়া বাবর ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক পেয়েছেন। দ্বিতীয় উইকেটে আজহারের সঙ্গে গড়েছেন ১২০ রানের চমৎকার জুটি।
বাবর ফিরেছেন উইকেটে থিতু হয়ে। আলজারি জোসেফের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বল ছাড়বেন নাকি খেলবেন এই সিদ্ধান্ত নিতে নিতে ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে জমা পড়ে কাইরন পাওয়েলের হাতে।
বিদায়ী টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে যাওয়ার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ পেয়েছেন ইউনুস। দিনের বাকি সময়টুকু আজহারকে নিয়ে নিরাপদে কাটিয়ে দেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। বৃষ্টির বাধায় এদিন ২১ ওভার কম খেলা হয়।
১-১ সমতায় থাকা সিরিজ জিতে ইউনুস-মিসবাহকে বিদায়ী উপহার দিতে মরিয়া সতীর্থরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে দেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজে হার এড়াতে উন্মুখ ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৬৯ ওভারে ১৬৯/২ (আজহার ৮৫*, মাসুদ ৯, বাবর ৫৫, ইউনুস ১০*; গ্যাব্রিয়েল ০/৩২, জোসেফ ১/৩৯, চেইস ১/২৭, হোল্ডার ০/৩০, বিশু ০/৩৬)