বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শনিবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাত্র ১৫ বলে পঞ্চাশে যান নারাইন। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৫টি চার ও চারটি ছক্কা। অর্থাৎ বাউন্ডারি থেকেই ৪৪ রান।
শেষ পর্যন্ত নারাইন আউট হয়েছেন ১৭ বলে ৫৪ রান করে। তার ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স ২৯ বল অব্যবহৃত রেখে জিতেছে ৬ উইকেটে। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান করে বেঙ্গালুরু।
দ্বিতীয় ওভারে স্ট্রাইক পান নারাইন। স্যামুয়েল বদ্রির সেই ওভারটি ঠিক কাজে লাগাতে পারেননি। তার ইনিংসে মোটে দুটি ডট, সেটাও মুখোমুখি হওয়া প্রথম দুই বলে। তৃতীয় বলে চার হাঁকিয়ে খোলেন রানের খাতা। পরের বলে আসে এক রান।
বদ্রির পরের ওভারে দেখা গেছে খুনে মেজাজের নারাইনকে। লেগ স্পিনারের গুগলি উড়িয়েছেন লং অফ দিয়ে। একই বল, একই শট, একই ফল- দ্বিতীয়ও বলেও ছক্কা। তৃতীয় বলটিও গুগলি, এবারও লংঅফ দিয়ে উড়ে সীমানার বাইরে।
টানা তিন ছক্কায় ডানা মেলা নারাইন বদ্রির সেই ওভার থেকে নেন ২৫ রান।
শ্রীনাথ অরবিন্দের পরের ওভারটিও একাই খেলেন নারাইন। দুই দিয়ে শুরু, পরের তিন বলে আসে টানা তিন চার।
দিশেহারা অরবিন্দ পরের দুটি বল লাইনেই রাখতে পারেননি- হয় ওয়াইড। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে যে কোনো ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো নারাইন পৌঁছান অর্ধশতকে। ষষ্ঠ বলে আবার চার- সব মিলিয়ে আসে ২৬ রান।
আইপিএলে দ্রুততম অর্ধশতকের রেকর্ড এতদিন ইউসুফের একার ছিল। ২০১৪ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে কলকাতায় হয়ে ১৫ বলে অর্ধশতক করেছিলেন এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান। সেই রেকর্ড এবার ভাগ বসালেন সতীর্থ নারাইন, যার আসল কাজ অফ স্পিন।
সেটাও ঠিকঠাক করেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ২৯ রানে নিয়েছেন দুই উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ম্যাচ সেরা তিনিই।
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম ১২ বলে অর্ধশতক রয়েছে যুবরাজ সিং ও ক্রিস গেইলের। ১৩ বলে ফিফটি আছে মার্কোস ট্রেসকোথিকের। ১৪ বলে পঞ্চাশ আছে আরও ছয় জনের।