১৭ ওভার বাকি থাকতে ১২৬ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ২০ ওভারেই ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পৌছে যায় ইংল্যান্ড।
ম্যাচ শুরুর আগে আইরিশ অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড বলছিলেন, ভারতের চেয়ে ব্রিস্টলের কন্ডিশন একেবারেই আলাদা। এখানে স্পিনে হয়তো ততটা ভুগতে হবে না তাদের। কিন্তু দিন শেষে সেই স্পিনই ভুগিয়েছে তাদের।
ভারতের মাটিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের ভরাডুবির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল তরুণ লেগ স্পিনার রশিদ খানের।
মইন আলিকে পেছনে ফেলে ইংলিশ গ্রীষ্মের প্রথম ম্যাচে জায়গা পাওয়া রশিদ করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। অনিয়মিত স্পিনার জো রুট ২ উইকেট নিয়েছেন ৯ রানে।
দুই স্পিনার মিলে নিয়েছেন ৭ উইকেট, দেশের মাটিতে ওয়ানডেতে ইংলিশ স্পিনারদের এটাই সেরা পারফরম্যান্স। তাদের দারুণ বোলিংয়ে ৪৫ রানে শেষ ৮ উইকেট হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড।
এড জয়েস-পল স্টার্লিংয়ের উদ্বোধনী জুটির ৪০ রানই সেরা জুটি। সর্বোচ্চ ৩০ রান অ্যান্ডি বালবারনির।
আয়ারল্যান্ডের বোলারদের চেয়ে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় মাথা ব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল আবহাওয়া। যে কোনো সময়ে বৃষ্টি নামতে পারে, তাই দ্রুত ম্যাচ শেষ করার দিকে নজর ছিল স্বাগতিকদের।
জেসন রয়ের শূন্য রানে ফেরার কোনো প্রভাব পড়তে দেননি আলেক্স হেলস। ৩৯ বলে ১০টি চারে ৫৫ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংসে দলকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। অধিনায়ক মর্গ্যানের দ্রুত বিদায়ের পর বাকিটা জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে শেষ করেন রুট। ৭টি চারে ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড। আগামী রোববার লর্ডসে হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৩৩ ওভারে ১২৬ (জয়েস ২৩, স্টার্লিং ২০, পোর্টারফিল্ড ১৩, বালবারনি ৩০, নায়াল ১৬, উইলসন ১, কেভিন ৪, টমসন ৪, ডকরেল ০, মুরতাঘ ১১, চেইস ১*; উইলি ১/৩৪, উড ১/২৪, বল ১/১৬, প্লানকেট ০/১৪, রশিদ ৫/২৭, রুট ২/৯)
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১২৭/৩ (রয় ০, হেলস ৫৫, রুট ৪৯*, মর্গ্যান ১০, বেয়ারস্টো ১০*; চেইস ৩/৪৪, মুরতাঘ ০/৩৩, ডকরেল ০/২০, টমসন ০/৩০)
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আদিল রশিদ