ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে রোববার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭ রানে হারায় ৩ উইকেট, ১৫৪ রানে ৬। চেইস-হোল্ডারের দৃঢ়তায় সেখান থেকে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ ২৮৬ রানে।
১৩১ রানে অপরাজিত চেইস। অর্ধশতকে পৌঁছানো হোল্ডারকে নিয়ে এখন আছেন বড় সংগ্রহ গড়ার লক্ষ্যে।
প্রথম টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে এগিয়ে থাকা পাকিস্তান মিসবাহ-উল-হক ও ইউনুস খানকে বিদায়ী উপহার দিতে চায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতে। সেই লক্ষ্যে দ্বিতীয় টেস্টের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ।
পঞ্চম ওভারেই মোহাম্মদ আমিরের বলে উইকেটরক্ষক সরফরাজের গ্লাভসবন্দি হন একবার জীবন পাওয়া ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। পরের ওভারে মোহাম্মাদ আব্বাস বিদায় করেন শিমরন হেটমায়ারকে।
লেগ ইয়াসির শাহর টার্ন ও বাউন্সে পরাস্ত হওয়া শাই হোপ ফিরেন স্টাম্পড হয়ে। দ্রুত ৩ উইকেট হারানো স্বাগতিকরা খানিকটা প্রতিরোধ গড়ে কাইরন পাওয়েল ও চেইসের ব্যাটে। আবারও থিতু হয়ে ফিরেন পাওয়েল, ভাঙে ৬৫ রানের জুটি।
অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংসেই ৯ রান করে ফিরেছিলেন ভিশাল সিং। তৃতীয় সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। এবার ফিরেন ৩ রান করে। উইকেরক্ষক শেন ডাওরিচের প্রতিরোধ ভাঙেন অভিষিক্ত ১৮ বছর বয়সী লেগ স্পিনার শাদাব খান। টেস্টে এটাই তার প্রথম উইকেট।
৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ দিনের বাকি সময়ে আর কোনো উইকেট হারায়নি। অবিচ্ছিন্ন সপ্তম উইকেটে ৩৯ ওভারে চেইস-হোল্ডার গড়েছেন ১৩২ রানের জুটি।
২০৭ বলের ইনিংসটিতে ১৭টি চার মেরেছেন চেইস। সিরিজে দ্বিতীয় অর্ধশতক পাওয়া হোল্ডার অপরাজিত ৫৮ রানে। তার ১২৫ বলের ইনিংসটি সাজানো ৮টি চারে।
দুই পেসার আমির ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন দুই লেগ স্পিনার ইয়াসির ও শাদাব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৮৯ ওভারে ২৮৬/৬ (ব্র্যাথওয়েট ৯, পাওয়েল ৩৮, হেটমায়ার ১, হোপ ৫, চেইস ১৩১* ভিশাল ৩, ডাওরিচ ২৯, হোল্ডার ৫৮*; আমির ২/৫২, আব্বাস ২/৪৭, ইয়াসির ১/৮৩, শাদাব ১/৯০, আজহার ০/৪)