আইসিসির রাজস্ব থেকে ৫৭ কোটি ডলার পাওয়ার দাবি নিয়ে দুবাইয়ে এসেছিল ভারত। এটাতো তারা নিশ্চিত করতে পারেইনি, আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের দেওয়া বাড়তি অর্থের প্রস্তাবও শেষ পর্যন্ত মেনে না নেওয়ায় পাচ্ছে না বিসিসিআই।
আগামী রাজস্ব সার্কেলে বিসিসিআইয়ের ২৯ কোটি ৩০ লাখ ডলার পাওয়ার কথা। সমঝোতায় এলে মনোহর ভারতের যা প্রাপ্য তার চেয়ে আরও প্রায় ১০ কোটি ডলার বেশি দেওয়া প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু বিসিসিআই তাদের দাবি ৫৭ কোটি ডলারে স্থির থেকে ভোটে হারে।
আইসিসির নতুন রাজস্ব কাঠামোর বিরোধিতা করা একমাত্র সদস্য ছিল ভারত। অন্য দেশগুলোর প্রবল সমর্থন পেয়ে প্রস্তাবটি পাস হয় ৯-১ ভোটে।
পরিচালন কাঠামোর পরিবর্তনগুলোর বিপক্ষে ভারতের সঙ্গে ভোট দেয় শ্রীলঙ্কাও। প্রস্তাবটি পাস হয়েছে ৮-২ ভোটে।
আগামী জুনে বার্ষিক সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে। এর মধ্যে দিয়ে কার্যকর হওয়ার দুই বছর পর শেষ হবে ‘তিন মোড়লের’ যুগ।
কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে না পারলে পূর্ণ সদস্য দেশের সহযোগী সদস্য হিসেবে অবনমনের ধারাটি আইসিসি সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে, শ্রীলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশ এর বিরুদ্ধে ছিল।
তবে আইসিসির বোর্ড সম্প্রসারণের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এখন ১০টি পূর্ণ সদস্য দেশের বাইরেও ভোট দিতে পারবে তিনটি সহযোগী দেশ, স্বাধীন নারী পরিচালক ও চেয়ারম্যান। আইসিসিতে এক বা দুই বোর্ডের কর্তৃত্ব করা এখন অনেক কঠিন হয়ে পড়বে।