একপেশে ম্যাচে বৃহস্পতিবার অলক কাপালীর দল জিতেছে ৭ উইকেট। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন ১৮ বছর বয়সী নিহাদ।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩০ ওভার ৫ বলে ১০২ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স। জবাবে ১৭ ওভার ৫ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্রাদার্স।
ছোটো লক্ষ্য তাড়ায় ৫৩ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভালো শুরু এনে দেন মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিক। শেষ করে আসার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। কিন্তু থিতু হয়ে ৩ রানের মধ্যে ফিরে যান এই দুই ব্যাটসম্যান।
দুই অঙ্কে যেতে পারেননি মাইশুকুর রহমান। ভারতীয় ব্যাটসম্যান মানভিন্দর সিং বিসলাকে নিয়ে বাকিটুকু সহজেই সারেন ফরহাদ হোসেন (৩৬ বলে ৩৫*)। তখনও হাতে ছিল ১৯৩ বল।
এর আগে ৫১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে পারটেক্স। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটি। শেষের দিকে সাজ্জাদুল হকের ব্যাটে কোনো মতে একশ পার হয় তাদের সংগ্রহ।
২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ব্রাদার্সের সেরা বোলার নিহাদ। নাঈম হাসান ও কাজী কামরুল ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। তাদের দারুণ বোলিংয়ের পর লিগের প্রথম জয়টি নিয়ে আর ভাবতে হয়নি আগের তিন ম্যাচে হারা ব্রাদার্সকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব: ৩০.৫ ওভারে ১০২ (ইরফান ৫, সাজ্জাদ ৬, শাহানুর ৭, পারাস ১২, তারিক ০, জুবায়ের ৮, জাকারিয়া ১, সাজ্জাদুল ৪২, নুরুজ্জামান ১০, রাজিবুল ৭*, মামুন ০; সাদ্দাম ১/২০, নাইম ২/১৬, নিহাদ ৪/২১, কাজী কামরুল ২/৩২, কাপালী ১/১৩)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন: ১৭.৫ ওভারে ১০৩/৩ (মিজানুর ৩৩, জুনায়েদ ২০, ফরহাদ ৩৫*, মাইশুকুর ৫, বিসলা ৩*; মামুন ০/২১, নুরুজ্জামান ১/৪০, জাকারিয়া ১/১৯, রাজিবুল ১/৯, পারাস ০/৯)
ফল: ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নিহাদউজ্জামান।