‘খুব ভালো বোলিং করলেও ২৮০-২৯০ তাড়া করতে হবে’

স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া; ভেজা বাতাস। সিম মুভমেন্ট। দুই দিকেই সুইং। ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষা। ইংল্যান্ড মানেই এই ছবি ভেসে ওঠে অনেকের চোখে। ব্যাটসম্যানদের চ্যালেঞ্জটা এবারও দেখছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে উল্টোভাবে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2017, 12:42 PM
Updated : 25 April 2017, 12:46 PM

আইসিসি টুর্নামেন্টের উইকেট তদারকি করে আইসিসিই। স্বাগতিক দেশের কিছু করার থাকে না। অতীত বলে, আইসিসি টুর্নামেন্টে বেশিরভাগ সময়ই উইকেট থাকে ব্যাটিং সহায়ক। এবারও ব্যতিক্রম আশা করছেন না মাশরাফি। বাংলাদেশ অধিনায়কের ধারণা, খুব ভালো বোলিং করলেও বড় রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে ব্যাটসম্যানদের।

“আইসিসির টুর্নামেন্টে দেখা যায় ২৫০ থেকে ৩৫০ রানের উইকেট দেয়া হয়। সুতরাং এখানে তেমন কোনো পার্থক্য থাকবে না। অন্তত ২৮০-২৯০ রান ইংল্যান্ডে করতেই আমাদের করতেই হবে। বা যত ভালো বোলিং করি, ২৮০ বা ৩০০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে। সেই মানসিকতা আমাদের রাখতে হবে।”

ইংল্যান্ডের আগে অবশ্য আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে কন্ডিশন-উইকেট ভিন্ন হওয়ার কথা। সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন অধিনায়ক।

“শুনেছি আয়ারল্যান্ডে এখনও শীত। আর ইংল্যান্ডে মাত্র গ্রীষ্ম শুরু হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয় যে, দুই রকম আবহাওয়ায় উইকেটের আচরণও দুই রকম হতে পারে। আবহাওয়া এই সময় দ্রুত পরিবর্তন হয়। সেটাও মাথায় রাখতে হবে।”

আয়ারল্যান্ডে সিমিং কন্ডিশন থাকবে, এটা অনুমান করেই নেওয়া যায়। তবে ইংল্যান্ডে বড় রানের খেলাই হবে নিশ্চিতভাবে। অধিনায়কের মতে, বড় রান তাড়ায় প্রয়োজন হবে গোছানো ব্যাটিং। ম্যাচের পরিস্থিতি ঠিকমতো বুঝে সেভাবেই ব্যাট করতে হবে।

“শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি ম্যাচে আমরা সাড়ে তিনশ’ রানের লক্ষ্য প্রায় তাড়া করে ফেলেছিলাম। সেই একই রকম উইকেটে শেষ ওয়ানডেতে ২৮০ রান তাড়া করতে পারিনি। শুরুতে উইকেট হারিয়েছিলাম। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় বা তৃতীয় ওয়ানডে দেখেন। ১ উইকেটে ১০০ রান করার পর আমাদের ইনিংসে ধস নেমেছিলাম। এমন কিছু ইতিহাস আছে বলেই বলছি, কিছু জায়গায় আমাদের আরও দৃঢ় হতে হবে।”

“কিছু কিছু জিনিস থাকে, কিছু কিছু জায়গা থাকে যেখানে শক্তভাবে সামলাতে হয়। পরিস্থিতি ঠিকমতো বিশ্লেষণ করতে হবে। খেলাটা ঠিক মত পড়তে হবে, ওইখানে কি করলে আমরা বড় স্কোর করতে পারবো। খুব ভালো শুরু এরপর নিজেকে সামলানো- এই ব্যাপারগুলো নিয়ে মানসিকভাবে প্রস্তুত হলে কাজটা হয়তো সহজ হবে।”

ক্রিকেটীয় ও মানসিক, সব ধরনের প্রস্তুতির জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এবার শুধু পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথ ধরে হাঁটার পালা।