আক্ষেপে শেষ হওয়া ইনিংসটিই অবশ্য দলকে এগিয়ে নিয়েছে জয়ের পথে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর।
শেষ দিকে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোয় আরও বড় হয়নি জয়ের ব্যবধান। বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স থমকে যায় ২৪৬ রানে। দোলেশ্বর জিতেছে ৯ বল বাকি থাকতে।
অথচ ম্যাচের শুরুর ভাগ ছিল শুধুই ব্রাদার্সের। মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিক উদ্বোধনী জুটিতেই তোলেন ১১৩ রান।
৫৬ রান করা মিজানকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙার পরের বলেই ফরহাদ হোসনকে ফেরান শরীফ উল্লাহ। তৃতীয় উইকেটে মাইশুকুর রহমানের সঙ্গে ৬৭ রানের জুটি গড়েন জুনায়েদ।
দারুণ ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে যখন ঝড় তোলার সময়, তখনই এলোমেলো বাদার্সের ইনিংস। ৮৭ রান করা জুনায়েদকে ফেরান এনামুল। এরপর সময়ের দাবি মেটতে পারেনি আর কেউ।
২ উইকেটে ১৮০ থেকে ব্রাদার্স উইকেট হারিয়েছে টপাটপ। শেষ দিকে এক ওভারেই তিন উইকেট নিয়ে ব্রাদার্সকে আড়াইশ করতেও দেননি আরাফাত সানি।
রান তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে অনেকটা এগিয়ে যায় দোলেশ্বর। ১৫ ওভারে ৮৭ রানের জুটি গড়েন ইমতিয়াজ ও আব্দুল মজিদ। ৪০ বলে ৪৫ করে ফেরেন মজিদ।
মজিদের ইনিংসটি রান রেটের চাপ সরিয়ে দেয়। দোলেশ্বরের রান তাড়া এগিয়ে চলে নিয়ন্ত্রিত পথে। সময় নিয়ে খেলতে ভালোবাসেন ইমতিয়াজ। রানের চাপ না থাকায় আপন গতিতেই দলকে এগিয়ে নেন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
খুব বড় জুটি না হলেও ভারতীয় পুনিত বিশ্ট ও মার্শাল আইয়ুব সঙ্গ দেন ইমতিয়াজকে। গত ঢাকা লিগে দুটি সেঞ্চুরি করা ওপেনার এবার এগিয়ে যাচ্ছিলেন প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। ফিরলেন খুব কাছে গিয়ে। ৯ চার ও ২ ছক্কায় ১৪৩ বলে ৯৯।
খানিক পরই জিতেছে দল। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে ইমতিয়াজের হাতে। ১ রানের যন্ত্রণা তবু খানিকটা পোড়ানোরই কথা!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ব্রাদার্স: ৫০ ওভারে ২৪৬/৯ (মিজানুর ৫৬ জুনায়েদ ৮৭, ফরহাদ ০, মাইশুকুর ৪৭, অলক ১১, ধীমান ১৩, সাদ্দাম ১৪, রুম্মান ৫, নাসুম ২, নিহাদুজ্জামান ৪*, নাঈম ২*; দেলোয়ার ১/৪০, হাবিবুর ০/৩৯, আরাফাত সানি ৪/৪৫, ফরহাদ রেজা ০/৩০, শরীফ উল্লাহ ২/৪৭, এনামুল ২/৪৫)।
প্রাইম দোলেশ্বর: ৪৮.৩ ওভারে ২৪৭/৬ (ইমতিয়াজ ৯৯, মজিদ ৪৫, শাহরিয়ার ১৬, পুনিত ২২, মার্শাল ৩৩, ফরহাদ রেজা ১৩*, এনামুল ২, শরীফ উল্লাহ ২*; সাদ্দাম ৩/৫৫, নিহাদুজ্জামান ২/৫০, নাঈম ১/২১, নাসুম ০/৪৬, মাইশুকুর ০/১১, অলক ০/৪৮, ফরহাদ ০/১০)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমতিয়াজ হোসেন