ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সানির দুর্দান্ত বোলিংয়ে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৭৮ রানে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
বিকেএসপি তিন নম্বর মাঠে দোলেশ্বরের ২৮৭ রানের জবাবে পুরো ওভার খেলেও পারটেক্স করতে পরে ২০৯।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে জেল খেটে আপাতত জামিনে আছেন সানি। মাঝে খেলতে পারেননি বিসিএলে। জাতীয় লিগে খেলেছেন কেবল এক ম্যাচ। জামিনের মেয়াদ শেষ হবে এই লিগের মাঝেই। এত কিছুর মাঝে লিগে দল পাওয়টাও বড় ব্যাপার। বাঁহাতি স্পিনার সেই আস্থার প্রতিদান দিলেন ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
সকালে দোলেশ্বরকে দারুণ শুরু এনে দেন ইমতিয়াজ হোসেন ও আব্দুল মজিদ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন তোলেন ৮৪ রান।
৩৮ রানে ইমতিয়াজের বিদায়ের পর শাহরিয়ার নাফীস ফেরেন শূন্য রানেই। পুনিত সিংকে নিয়ে দোলেশ্বরকে এগিয়ে নেন মজিদ।
৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮৩ বলে ৭৭ রান করেন মজিদ। ৬ চারে ২৯ করে ফেরেন পুনিত। মিডল অর্ডারের হাল ধরেন মার্শাল আইয়ুব। অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ৬৩ করেন ৬৫ বলে।
শেষ দিকে দুই ছক্কায় অপরাজিত ১৬ করেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। ৯ বলে অপরাজিত ১৯ হাবিবুর রহমান।
বড় রান তাড়ায় কখনোই জয়ের সম্ভাবনা জাগতে পারেনি পারটেক্স। ৩২ রানে হারায় তারা ৩ উইকেট।
তৃতীয় উইকেটে জুটি গড়েন যশপাল সিং ও সাজ্জাদুল হক। তবে রান রেটের দাবি মেটাতে পারেনি এই জুটি। ৯১ রানের জুটি গড়তে লাগে ১৫৭ বল!
ভারতীয় যশপাল পঞ্চাশ করতে খেলেন ৮৬ বল। এরপর গতি বাড়ালেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৬ বলে করেছেন ৭৪। সাজ্জাদুল ৪৩ করেছেন ৮২ বলে।
এই দুজনকেই ফেরান সানি। বাঁহাতি স্পিনার পরেও দাঁড়াতে দেননি পারটেক্সের আর কাউকে।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার সানি পেলেন ৫ উইকেট। ম্যাচসেরাও তিনিই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২৮৭/৯ (ইমতিয়াজ ৩৮, মজিদ ৭৭, শাহরিয়ার ০, পুনিত ২৯, মার্শল ৬৩, শরিফুল্লাহ ২১, ফরহাদ ১৬, এনাম জুনিয়র ৫, হাবিবুর ১৯, দেলোয়ার ৩*; কবির ৩/৪১, মাসুম ০/২২, হাফিজ ২/৫২, রাজিবুল ০/৬৪, জাকারিয়া ০/৩৫, শাহানুর ২/৪৭, যশ পাল ০/২৩)।
পারটেক্স: ৫০ ওভারে ২০৯/৯ (ইরফান ১৯, তারিক ৭, শাহানুর ০, যশপাল ৭৪, সাজ্জাদ ৪৩, জাকারিয়া ৮, জুবায়ের ২, রাজিবুল ২৬*, মাসুম ২, কবির ১৮, হাফিজ ০*; দেলোয়ার ০/১৭, হাবিবুর ১/৫৬, ফরহাদ রেজা ২/১০, সানি ৫/৩৩, শরিফউল্লাহ ১/৫০, এনাম জুনিয়র ০/৪১)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ৭৮ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আরাফাত সানি