‘দ্বিতীয় ম্যাচ অনেক স্বাধীনভাবে খেলেছি’

সৌম্য সরকার-ইমরুল কায়েসের ব্যাটিং ছিল বিস্ফোরক। সাকিব আল হাসান-মুস্তাফিজুর রহমানদের বোলিং ছিল ভয়ঙ্কর, অতিথিদের ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। সাকিব মনে করছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেভাবে খেলা উচিত দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিক সেভাবেই খেলেছেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 April 2017, 06:17 AM
Updated : 7 April 2017, 08:01 AM

বাংলাদেশের গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে ছিল নজর কাড়া। ম্যাচ সেরা সাকিব জানান, মাশরাফিকে ভালোভাবে বিদায় আর দেশের জন্য খেলা- এই দুইয়ের প্রভাব পড়েছিল তাদের শরীরী ভাষায়।
 
“মাশরাফি ভাইকে বিদায় দেওয়া অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা জয় দিয়ে বিদায় দিতে পারি তাহলে অবশ্যই ভালো। বাংলাদেশ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের জার্সি গায়ে যখন খেলে তখন সবাই চেষ্টা করে যার যার সেরা খেলাটা খেলার। আজকে এটাই হয়েছে।”
 
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ৭ ওভারে ২৮ রান যোগ করতে বাংলাদেশ হারায় ৪ উইকেট। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে আর বড় সংগ্রহ গড়া হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াইয়ের পুঁজি পেতে সমস্যা হয়নি তাদের।
 
“প্রথম ম্যাচের তুলনায় দ্বিতীয় ম্যাচ আমরা অনেক বেশি স্বাধীনভাবে খেলেছি। যেটা আমার মনে হয়…. অনেক বেশি ইতিবাচক দিক। টি-টোয়েন্টি খেলতে গেলে এভাবেই খেলতে হবে।” 
 
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। চলতি বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল তিন ম্যাচের সিরজের সবকটিতে। শ্রীলঙ্কায় প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও মাশরাফির দলের সঙ্গী সেই হতাশার হার। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ৪৫ রানে হারিয়ে আট ম্যাচ পর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। 
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, এই জয় তাদের কতটা উজ্জ্বীবিত করবে।
 
“উজ্জ্বীবিত তো করবেই। আমাদের দল অনেক ভালো। প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। আজকের পারফরম্যান্সে খেলোয়াড়রা ভাবতে পারবে যে, তাদের ছন্দটা ঠিকই আছে। আমাদের জন্য এটা সহায়ক হতে পারে।” 
 
পিছিয়ে থেকে সিরিজ ড্র করতে পারাকে নিজেদের বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। 
 
“আপনারা যদি দেখেন শেষ ৮টা ম্যাচ আমরা জিতিনি। যেগুলো জিতেছি তাও ছোট দলের সঙ্গে। এর আগে এশিয়া কাপে জিতেছি। কিন্তু তার আগেও আবার ফল ভালো ছিল না।”
 
“আমাদের জন্য এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, বিশেষ করে প্রথম ম্যাচ হারের পর। সেদিক থেকে অনেক সন্তুষ্টির ব্যাপার।”