মাশরাফির বিদায়ী টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে ৪৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচটি সব সময়ই মাশরাফির স্মৃতিতে যত্ন করে তোলা থাকবে।
“এটা অবশ্যই আমার জন্য গর্ব করার মতো একটি ব্যাপার। ভালো লাগছে এই জন্য যে, বাংলাদেশ জিতেছে। একই সঙ্গে বলবো যে, এই শেষ ম্যাচটা আমি যত দিন বেঁচে থাকবো আমার মনে থাকবে। শেষ ম্যাচটা আমরা জিতেছিলাম, আমি সেই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলাম।”
১০ বছরের বাঁধন ছিন্ন করার সময় বড় কঠিন কেটেছে মাশরাফির। অনেক স্মৃতি এসে ভিড় করছে মনের কোণে।
“এখনও পুরো যাচ্ছি না, ওয়ানডে খেলবো…। কিছুটা ইমোশন তো থাকেই। বাংলাদেশের জার্সি পড়ে ১০ বছর টি-টোয়েন্টি খেলেছি। বেশিরভাগ খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলেছি। অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে আছে তাদের সঙ্গে। অনেকের সঙ্গেই ব্যক্তিগত কিছু স্মৃতি আছে। শেষটা খুব ভালো হয়েছে, সেটাই খুব ভালো লাগছে আমার।”
মাশরাফির বিদায়ের কথা শুনে কেঁদেছিলেন তাসকিন আহমেদের মতো তরুণ সতীর্থরা। তাদের চোখের জল বিদায় বেলায় অধিনায়কের আরেক প্রাপ্তি।
“হ্যাঁ, কেউ কেউ কেঁদেছে। যেটা হয়েছে নিজের আবেগ প্রকাশ না করে, ওদেরই ঠেকাতে হয়েছে অনেক সময়। ওদেরকে বোঝাতে হয়েছে। সবারই কিছু না কিছু ইমোশন থাকে। আমার চেয়ে বেশি বা আমার পরিবারের চেয়ে কারোর লাগবে বেশি খারাপ লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, আমার জন্য কারোর চোখের পানি ফেলা আমার জন্য বিরাট পাওয়া।”
অধিনায়ককে জয় দিয়ে বিদায় দিতে পেরে মহাখুশি সতীর্থরা। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিল আনন্দের বন্যা।