মাশরাফির উপর চাপ ছিল না, দাবি নাজমুলের

বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দাবি করেছেন, টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার জন্য কোনো চাপ মাশরাফি বিন মুর্তজার ওপর ছিল না। তবে শ্রীলঙ্কায় যে তিনি এই সংস্করণের নেতৃত্ব ছাড়বেন সেটা পূর্ব-পরিকল্পিত ছিল।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 12:51 PM
Updated : 5 April 2017, 04:50 PM

আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের টসের সময় এই সিরিজের পর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি। নাজমুল হাসান জানান, মাশরাফি কখন ঘোষণা দেবেন তিনি জানতেন না।

“আমরা জানি (অধিনায়ক হিসেবে) এটা তার শেষ সিরিজ। কখন সে ঘোষণা দেবে এটা তার উপর নির্ভর করে। আমরা ভেবেছিলাম হয়তো দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগে (নেতৃত্ব থেকে) সরে যাওয়ার ঘোষণা দেবে মাশরাফি। (টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর) কেন বলেছে এখনও আমি জানি না। ওর ওপর অবসরের কোনো চাপ ছিল না, প্রশ্নই উঠে না এটার।”

মাশরাফির বিদায়টা এক দিক থেকে যেমন আগে থেকেই ঠিক করে রাখা, অন্য দিকে হঠাৎ করে নেওয়াও।

“এখানে দুটোই ঠিক। কোনোটাকে ফেলে দেওয়া যায় না।”

আইসিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ার কথা পরবর্তী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে এই টুর্নামেন্ট চার বছর পরপর আয়োজনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে দুই বছরে ফেরানোর কথাও ভাবছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় হতে পারে পরবর্তী আসর।

আরও এক-দেড় বছর খেলার মধ্যে থাকলে ওই টুর্নামেন্টে খেলতেই পারতেন মাশরাফি। বিসিবি তিন ফরম্যাটে চায় তিন অধিনায়ক। তিন সংস্করণে চায় ৪/৫ জন করে বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার। এই সমীকরণ মেলাতে গিয়েই হয়তো সময়ের আগেই আর দেশের বাইরে অবসর নিতে হল মাশরাফিকে। বিসিবি সভাপতির দাবি, নেতৃত্ব ছাড়লেও স্কোয়াডে থাকতেনই এই পেসার। 

“মাশরাফি যদি ফিট থাকে তাহলে কেন আমরা তাকে খেলাবো না। গতকাল সেই সবচেয়ে ভালো বোলিং করেছে। অসাধারণ ভালো বোলিং করেছে। যদি ফর্মে থাকে, ফিট তাকে ওকে বাদ দিবে কে? নিজে থেকে যদি না খেলতে চায়, সেটা ভিন্ন ইস্যু।”

ওয়ানডেতে নেতৃত্ব পাল্টাবে না বিসিবি। এই সংস্করণে যত দিন চাইবেন খেলবেন মাশরাফি। টেস্টের মতো এই সংস্করণেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে না। সব চলবে টি-টোয়েন্টিতে।

“ওয়ানডে আর টেস্টে তো ১০ জনের জায়গা প্রায় নিশ্চিতই। তাই টি-টোয়েন্টি ছাড়া আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কোনো অপশন নেই। আমাদের ঝুঁকি নিতে হলে টি-টোয়েন্টিতেই নিতে হবে। ওয়ানডেতে র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। টেস্টেও অভিজ্ঞতার দরকার আছে। সেক্ষেত্রে ওখানেও হাত দেওয়া যাবে না।”

“একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করাদের সেখানেই দেখে নেওয়া যায়।”

বিসিবি সভাপতি জানান, বছর খানেক আগে তারা ভেবেছিলেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত হয়তো খেলবেন মাশরাফি। এখন তাদের মনে হচ্ছে, আরও বেশি দিন দেশের হয় খেলতে পারবেন তিনি।