মাশরাফির সিদ্ধান্তে স্তব্ধ হয়ে পড়েন সতীর্থরা

কোনো মানসিক প্রস্তুতি ছিল না ক্রিকেটারদের। তাই টিম মিটিংয়ের পর ক্রিকেটারদের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মাশরাফি বিন মুর্তজা যখন অবসরের সিদ্ধান্ত জানালেন, সেটা বিশাল ধাক্কা হয়ে এসেছিল। মোসাদ্দেক হোসেন জানিয়েছেন, সে সময় ঘরে নেমে এসেছিল পিন পতন নীরবতা, কথাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না কেউ।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 08:39 AM
Updated : 5 April 2017, 04:53 PM

প্রতিটি ম্যাচের আগে দলের সভার পর নিজেরাই বসেন ক্রিকেটাররা। মঙ্গলবার হোটেলে সেই সভাতেই বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সতীর্থদের মাশরাফি জানান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজই তার শেষ, এরপর আর দেশের হয়ে এই সংস্করণে খেলবেন না।

বুধবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন নেই। দুপুরে দলের প্রতিনিধি হয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন মোসাদ্দেক। তিনিই বর্ণনা দিচ্ছিলেন মন খারাপ করা সেই সময়ের।

“ওই সময়ই আমরা সবাই মোটামুটি জানলাম, এই সিরিজের পর আর দেশের হয়ে মাশরাফি ভাই টি-টোয়েন্টি খেলবেন না। উনি ওই কথাটা বলার পর দলের সবাই স্তব্ধ হয়ে যায়। তার মুখ থেকে এমন একটা সিদ্ধান্ত শোনার পর কেউ কিছু বলতে পারছিল না।”

মাত্রই ক্যারিয়ার শুরু করা মোসাদ্দেক, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান থেকে শুরু করে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল কেউই বুঝে উঠতে পারছিলেন না কী হচ্ছে।

“তার এই সিদ্ধান্ত হয়তো আমরা মেনে নিতে পারছিলাম না। আমাদের বড় ভাই বলেন, অভিভাবক বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই কিছু দিনেই উনার কাছ থেকে অনেক পেয়েছি। তারপরও মনে হয়, উনার কাছ থেকে আরও অনেক কিছু নেওয়ার আছে। অনেক বেশি মিস করবো তাকে।”

অধিনায়কের সিদ্ধান্ত শোনার পর ছন্দপতন ঘটেছিল, শরীরী ভাষাই পাল্টে গিয়েছিল ক্রিকেটারদের। মোসাদ্দেক জানান, কেটে যাওয়া সুরটা জোড়া লাগানোর কাজটা করেছিলেন অধিনায়কই।

“মাশরাফি ভাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই আমরা খুব আপসেট ছিলাম। ….মাঠে নামার সময় কিন্তু তার অনুপ্রেরণা দেওয়ার জায়গা আগের মতোই ছিল। বলছিলেন, ‘আমরা যদি শক্ত না হই, আমরা ম্যাচ জিততে পারবো না বা ইতিবাচক থাকতে পারবো না।’ উনার কাছ থেকে আমরা আবার নতুন করে অনুপ্রেরণা পেয়েছি, সবার আগে খেলাটা আমাদের কাছে বড়। আমাদের সেটার ওপরই মনোযোগ দেওয়া উচিত।”