সিহংলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কার ছুড়ে দেওয়া ২৮১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ২১০ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। হাতের নাগালে লক্ষ্য পেয়েও দলের ৭০ রানের হার কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না অধিনায়ক।
“যদি আমাকে ম্যাচের আগে জিজ্ঞেস করা হতো, ২৬০/২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ার কথা, আমি খুব খুশি থাকতাম। বিশেষ করে দ্বিতীয় অংশে যে ধরনের উইকেট পাওয়া যায়।”
চতুর্থ ওভারে ১১ রানে তামিম ইকবাল, সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
“১১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানো সব সময় কঠিন। তারপরও সাকিব (আল হাসান) ও সৌম্য (সরকার) বড় ইনিংস খেলার সুযোগ পেয়েছিল। আমার মনে হয়, ১০ ওভার (আসলে ৮) বল করা সাকিব খুব ক্লান্ত ছিল। ক্রাম্পের সমস্যাও ছিল। এরপর আর কোনো জুটি গড়তে পারিনি।”
৭৭ রানের জুটিতে দলকে ভালো অবস্থানের দিকে নিয়ে গিয়েছিলেন সাকিব-সৌম্য। রান রেটও ছিল ছয় ছুঁইছুঁই। সৌম্যর বিদায়ের পর আর কোনো জুটি গড়ে পারেনি বাংলাদেশ।
“শুরুতে দুই পাশে দুই নতুন বল সুইং করেছে, দ্রুত তিনটা উইকেট গেছে। আমার মনে হয়, সৌম্য-সাকিব যেভাবে ব্যাট করছিল সেটা যদি টেনে নেওয়া যেত, আরও যে দুই ব্যাটসম্যান ছিলেন তারা যদি বড় ইনিংস খেলত আমরা তারপরও এই ম্যাচ জিততে পারতাম।”
“আমরা খুব ভালো রিকভারি করে ফেলেছিলাম। যে কোনো দিন, যে কোনো সময়ে এই উইকেটে ২৮০ রান চেজেবল।”
কলম্বো ক্রিকেট ক্লাব মাঠে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সময় মাশরাফিরা দেখেছিলেন দিনের ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং সহজ হয়। শনিবারের ম্যাচে ছিল বৃষ্টি শঙ্কা। দুইয়ে মিলে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক।
“আমরা ওদের যত রানে বেধে রাখতে চেয়েছিলাম তার চেয়ে ২০ রান বেশি হয়েছে। ২৫০/২৬০ রানের ভেতরে রাখতে পারলে ব্যাটসম্যানদের জন্য সুবিধা হতো। (মেহেদী হাসান) মিরাজ, তাসকিন (আহমেদ) কিন্তু সহজেই টিকে গেছে। এটা পরিষ্কার, উইকেটে দ্বিতীয় ইনিংসে তেমন কিছুই ছিল না। যে উইকেট ছিল তাতে ২৮১ করা উচিত ছিল।”