যে কোনো খেলাতেই গুরুত্বপূর্ণ শরীরী ভাষা। ম্যাচ বিপক্ষে চলে যেতে থাকলে তার প্রভাব দেখা যায় খেলোয়াড়দের মধ্যে। মাঠে যেন কোনোভাবে শরীরী ভাষায় হাল ছাড়ার ব্যাপারটি যেন না আসে তার জন্য সতর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
“এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা বলতে পারেন। অন্যের সাথে না, বলতে পারেন, এটা আমাদের সাথে আমাদের বা নিজের সাথে নিজের। স্পোর্টসে শরীরী ভাষা একটা বড় ব্যাপার। আমরা এই জিনিসটা পরিবর্তন করতে চাই, ম্যাচ হারি বা জিতি।”
“শরীরী ভাষা সব সময় ঠিক রেখেই যে আপনি জিততে পারবেন তাও না। তবে এটা আমাদের কাজে আসবে। যেটা প্রতিষ্ঠিত বা অন্যান্য বড় দল করে থাকে। এটা যদি পরিবর্তন করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে খুব ভালো হবে।”
প্রথম টেস্টে হারের পর নিজেরা নিজেরা বসেছিল ক্রিকেটাররা। খেলায় আরও সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য একে অন্যকে নিজের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। টানা দুই ম্যাচে তার ফলও পেয়েছে বাংলাদেশ।
“প্রতিটি ম্যাচেই দায়িত্ব থাকে। আপনি কোনো ম্যাচকে চিহ্নিত করতে পারবেন না যে, এখানে দায়িত্ব নেই। বিশেষ করে আপনি যখন নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন। আপনি যে ম্যাচই খেলেন, যার বিপক্ষেই খেলেন, এই সুযোগ নেই।”
“অবশ্যই সিনিয়রদের একটা দায়িত্ব আছে। জুনিয়রদেরও দায়িত্ব আছে, তাদের কাছেও অনেক প্রত্যাশা আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, এটা দারুণ। আমরা চাইবো ওরা যেন বারবার এর পুনরাবৃত্তি করে।”
মাশরাফির বিশ্বাস, আরেকবার সবাই নিজের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করলে সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচে জেতা সম্ভব। শনিবার এই মাঠেই তৃতীয় ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে অতিথিরা।