পাকিস্তানের সঙ্গে টাই, গ্রুপ রানার্সআপ বাংলাদেশ

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। শেষ বলে দুই। কিন্তু শেষ ওভারে প্রতিটি বলে হলো সিঙ্গেল। স্ট্রাইকে ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের মত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান। কিন্তু শেষ বলে ২ রানের সমীকরণ পারলেন না মেলাতে। ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে টাই হলো পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2017, 12:56 PM
Updated : 30 March 2017, 12:56 PM

কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সবদিক থেকেই এক বিন্দুতে মিলল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ও পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩। ওভার, উইকেট, রান, সবই সমান। দুই দলই ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৩।

সমান ৫ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে এগিয়ে থাকায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে উঠল পাকিস্তান। বাংলাদেশ সেমিতে উঠল গ্রুপে দ্বিতীয় হয়ে।

সকালে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। নতুন বলে সাইফুদ্দিন ফিরিয়ে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ওপেনার ইমাম-উল-হককে ১৩ রানে এলবিডব্লিউ করে সাইফুদ্দিন।

দ্রুত সাফল্য পান দুই স্পিনার নাসুম আহমেদ ও নাঈম হাসানও। ৩৫ রানে পাকিস্তান হারায় ৪ উইকেট। সেখান থেকে পাকিস্তানকে টানেন হারিস সোহেল ও হাম্মাদ আজম। হাম্মাদকে (৩০) ফিরিয়ে ৮৬ রানের পঞ্চমম উইকেট জুটি ভাঙেন আবুল হাসান।

দুটি করে চার ও ছক্কায় সোহেল করেন ৬৩। তবে পাকিস্তান দুশ ছাড়াতে পারে মূলত হুসাইন তালাতের ব্যাটে। সাতে নেমে ৪৬ বলে ৫৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই অলরাউন্ডার। নয়ে নেমে ২২ রানের ইনিংসে শেষ দিকে সঙ্গ দেন জাফর গোহার।

শুরুটা যেমন ছিল, তাতে শেষ পর্যন্ত ২৩৩ রান নিশ্চয়ই ছিল পাকিস্তানের প্রত্যাশার বেশি। রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ছিল বাজে। ২৪ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার। দলকে এগিয়ে নেওয়ার ভার নিজের কাঁধে নেন মুমিনুল হক।

তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হাসান শান্তকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। ৩০ রান করে শান্ত আউট হওয়ার পর নাসির হোসেন ফেরেন মাত্র ৬ রানেই। তবে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে আবার দলকে পথে ফেরান মুমিনুল।

শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৫৫ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু মুমিনুলকে হারিয়ে পথ হারানোর শুরু। ব্যাট হাতে ভোগানো তালাত বল হাতেও বাংলোদেশকে বড় ধাক্কা দেন মুমিনুলকে ৭৫ রানে বোল্ড করে। ভাঙে ৭৩ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি।

এরপর আফিফ হোসেন ফেরেন দ্রুতই। পঞ্চাশ পেরিয়ে আউট হয়ে যান মিঠুনও। দুজনই জাফর গোহারের বাঁহাতি স্পিনের শিকার। পরে পরিস্থিতির দাবি মেটাতে পারেননি আবুল হাসান। সাইফুদ্দিন টিকে ছিলেন। কিন্তু ২৪ বল খেলেও মারতে পারেননি বাউন্ডারি। পারলেন না শেষ বলে ২ রান নিতেও। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩: ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (ইমাম ২৩, ইমরান ১, সোহেল ৬৩, রিজওয়ান ১২, জাহিদ ০, হাম্মাদ ৩০, তালাত ৫৭*, বিলাল ১১, গোহার ২২, উসামা ১*; সাইফুদ্দিন ৩/৫৪, আবুল হাসান ২/৪০, নাঈম ১/৩০, নাসুম ২/৫৭, নাসির ০/৪৭)।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩: ৫০ ওভারে ২৩৩/৮ (সাইফ ১০, আজমির ১২, মুমিনুল ৭৫, শান্ত ৩০, নাসির ৬, মিঠুন ৫৩, আফিফ ১, সাইফুদ্দিন ১৮*, আবুল হাসান ৯, নাঈম ৪*; তালাত ২/৪১, মুদাসসর ১/৩০, বিলাল ১/৩০, হাম্মাদ ০/১৪, গোহার ২/৪০, উসামা ২/৫৮, সোহেল ০/১৬)।

ফল: ম্যাচ টাই

ম্যান অব দা ম্যাচ: হুসাইন তালাত