৭টি টেস্ট খেলা মিরাজের ওয়ানডে অভিষেক হয় শনিবার, রনিগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ৪৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলের ৯০ রানের জয়ে অবদান রাখেন ১৯ বছর বয়সী এই অফ স্পিনার।
ডাম্বুলায় বাংলাদেশ দলের হোটেলে রোববার গণমাধ্যমকর্মীদের মিরাজ বলছিলেন বাংলাদেশ দলের সংস্কৃতি নিয়ে।
“আমি কিন্তু ওয়ানডে অভিষেকে স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। আমাকে দেখে যে ব্যাপারটি বোঝা যায়নি এর কৃতিত্ব দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের। তারা আমাকে পুরোটা সময় দারুণ সহায়তা দিয়ে গেছেন।”
মিরাজ জানান, অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তাকে বলছিলেন, “তুই খুব ভালো বোলার। ঠিক জায়গায় বল করতে পারলে তোর বল ওরা খেলতেই পারবে না।”
ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার কয়েকবার পরামর্শ দিয়েছিলেন মিরাজকে। কুসল মেন্ডিস যে বলে আউট হন সেটি ঝুলিয়ে দেওয়ার পরামর্শ এসেছিল উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে।
থিসারা পেরেরা যখন চড়াও হতে যাচ্ছিলেন, সাকিব আল হাসান এসে মিরাজকে বলেছিলেন, ‘লেগ স্টাম্পে বল করিস না। অফ স্টাম্পের বাইরে বল কর, তাহলে মারতে পারবে না।’
মিরাজ জানান, এমন অসংখ্য পরামর্শ ম্যাচজুড়ে পেয়েছেন সেগুলো খুব কাজেও লেগেছে।
“সাকিব ভাইয়ের কথাতেই যেমন, থিসারাকে লেগ স্টাম্পে কোনো বল দেইনি। ও আমাকে মারতে পারেনি। যদিও ওর উইকেট নিতে পারিনি কিন্তু ওর ঝড় থামাতে পেরেছিলাম।”
হঠাৎ ডাক পেয়ে ওয়ানডে দলে আসা মিরাজ জানান, দলের সংস্কৃতিটাই এমন যেখানে নতুন সবাইকে গ্রহণ করা হয় সাদরে। পুরো দল সব সময় থাকে তার পাশে।
“আমার স্বপ্নের মতো অভিষেকের জন্য, আমি সিনিয়দের ধন্যবাদ দিবো। তারা আমাকে খুব সহায়তা করেছেন। টেস্টে লম্বা সময় থাকে, অনেক কিছু ভাবা যায়, পরিকল্পনা করা যায়। ওয়ানডেতে কিন্তু সে রকম সময় থাকে না। এখানে সময় কম। পুরো ম্যাচে মাশরাফি ভাইরা আমাকে সেই চাপটা বুঝতে দেননি।”
“তাদের অনুপ্রেরণার জন্য অভিষেকের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। মনেই হয়নি আমি প্রথম খেলছি। কোনো চাপই ছিলো না।”
মিরাজের অভিষেক ম্যাচে এবার জিতেছে বাংলাদেশ। তরুণ অফ স্পিনারের বাড়িতে তাই আনন্দের বন্যা।
“বাড়ির সবাই ফোন করেছে। দল জিতেছে, আমি ভালো করেছি; ফলে বাবা-মা অনেক খুশি হয়েছেন।”
সবে শুরু মিরাজের, নজর অনেক দূরে, “সামনে আরো বড় সাফল্য অর্জন করার চেষ্টা করবো। দেশের হয়ে বড় কিছু করার চেষ্টা করবো।”