এই ছোটো ছোটো ঘটনাগুলোতেই পাল্টে গেল তামিমের খেলার ধরণ। উইকেটে থাকলেন ৪৮তম ওভার পর্যন্ত। খেললেন ১২৭ রানের চমৎকার ইনিংস। দলকে এনে দিলেন ৩২৪ রানের বড় সংগ্রহ।
রনগিরি ডাম্বুলা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শনিবার ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা তামিম সংবাদ সম্মেলনে শোনাচ্ছিলেন শতকে পৌঁছানোর গল্প।
“একটা সময় ছিল যখন আমি কিছুটা সংগ্রাম করছিলাম। তখন ড্রেসিং রুম থেকে একটা বার্তা পেয়েছিলাম, ব্যাটিং চালিয়ে যাও, যতটা সময় সম্ভব ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করো। সেটা আমি সফলভাবে করতে পেরেছি, আমি খুব খুশি।”
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৯০ রানের জয়ের পর চনমনে মেজাজে থাকা তামিম পরে জানালেন বিস্তারিত।
“যখন আমি ৪০-এর ঘরে ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল, আমি স্ট্রাইক রোটেট করতে পারছিলাম না। তারা ওই সময়ে ভালো বোলিং করছিল। আর সময়টা এমন ছিল যে, যদি আমরা একটা উইকেট হারাতাম তাহলে হয়তো বড় স্কোর করা সম্ভব হত না।”
“ড্রেসিং রুম থেকে কোচ, অধিনায়ক মেসেজ পাঠায়। লক্ষ্য করবেন মাশরাফি ভাই বারবার বাইরে বেরিয়ে এসে আমাকে বুঝাচ্ছিল যে, বড় ইনিংস খেল।”
শহিদ আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে ডাম্বুলায় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেললেন তামিম। শ্রীলঙ্কায় পেলেন টানা দুই ইনিংসে শতক।
“সব সময় আপনার মনের মত করে সব হবে না। কঠিন সময় আসবে আবার সেখান থেকে বের হওয়ারও সময় আসবে। আমি ওটা চেষ্টা করছিলাম ইনিংসটা বড় করার।”