রনগিরি ডাম্বুলা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের আগে শুক্রবার অনুশীলনের জন্য একটি সেশন পাবে অতিথিরা।
নিউ জিল্যান্ডে বাংলাদেশের তিনটি ওয়ানডেই ছিল দিনের আলোয়। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ দিন-রাতের ম্যাচ খেলেছিল মাশরাফির দল।
ওয়ানডে সিরিজের আগে গত বুধবার বাংলাদেশ একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে কলম্বোয়। বৃহস্পতিবার ডাম্বুলায় এসে অনুশীলন করেননি ক্রিকেটাররা। দুপুরে হোটেলে পৌঁছানোর পর বিকেল কেটেছে জিম আর সাঁতারে। রাতে ছিল অফিসিয়াল ডিনার।
টিম হোটেলে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ জানান, এক দিনের বেশি অনুশীলনের সুযোগ না থাকাকে বড় করে দেখছেন না তারা।
“প্রত্যেক সফরকারী দলের সঙ্গে এ রকম হয়। আমাদের দেশে যখন চট্টগ্রামে খেলতে যায় তখন এক-দুই দিন আগে যায় তারপর অনুশীলন করে মাঠে নামে।”
বাংলাদেশ দলও ব্যাপারটি মেনে নিয়েছে স্বাগতিক দলের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে।
২০১০ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো ডাম্বুলা এসেছিল বাংলাদেশ দল। সেই সময়ের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছাড়াও মাশরাফি, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহর আছে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা।
সাবেক অধিনায়ক মাহমুদের বিশ্বাস, সেই অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগবে। বাড়তি হিসেবে তো আছেনই চন্দিকা হাথুরুসিংহে, থিলান সামারাবিরা ও মারিও ভিল্লাভারায়ন।
“ডাম্বুলা সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছে। এছাড়া তিন শ্রীলঙ্কান তো আমাদের দলেই। ওদের কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা আছে, আমাদের খেলোয়াড়দেরও আইডিয়া আছে, উইকেট সম্পর্কেও ধারণা আছে। তারপর আমরা অনুশীলনে গিয়ে উইকেট দেখব। ওরা কিভাবে আমাদের জন্য উইকেট বানায় সেটাও দেখব।”