কলম্বো ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বুধবারের সেই ম্যাচে ৬৭ রান করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন কুসল পেরেরা। সান্দান বিরাক্কডি, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা- এই চার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানও পেয়েছেন রানের দেখা। তাদের সবার স্ট্রাইক রেট ছিল একশর ওপরে। ৭ উইকেটে ৩৫৪ রান করা স্বাগতিকরা জেতে ২ রানে। সেই ম্যাচের পরই আরেক জন অফ স্পিনারকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
ডাম্বুলায় বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মাহমুদ বলেন, “ওদের টপ অর্ডারে পাঁচ-ছয় জন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আছে। তাদের জন্য বাড়তি একজন ব্যাকআপ অফ স্পিনার রাখা দরকার। অনুশীলন ম্যাচ শেষে যখন কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে কথা বললাম তখন, মিরাজকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হল।”
এখন পর্যন্ত ৭ টেস্ট খেলা মিরাজ লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এখনও ততটা সফল নন। ২৭ ম্যাচে ২৯.১৪ গড়ে নিয়েছেন ২৭ উইকেট। সেরা ২/১৯।
বাংলাদেশের ম্যানেজার মাহমুদ জানান, শ্রীলঙ্কায় খেলার অভিজ্ঞতা থাকায় ডাক মিলেছে এই তরুণের।
“মিরাজ এই কন্ডিশনে খেলে গেছে, শ্রীলঙ্কার কন্ডিশন সম্পর্কে অবগত। এজন্য ওকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। ও তো দুই-তিন দিন আগেই গেল।”
শততম টেস্টে খেলে গত সোমবার দেশে ফিরে যান মিরাজ। তার খেলার কথা ছিল ইমার্জিং কাপে। তাকে হঠাৎ ডাকার পেছনে বাংলাদেশের যে কোনো মূল্যে জেতার প্রত্যয় কাজ করেছে।
“আমরা সিরিজটা জিততে চাই। এই সিরিজ জেতার জন্য আমাদের যা যা করার দরকার তাই আমরা করব।”