দলের সব সদস্য একে একে উঠে গেছেন বাসে। সবার শেষে বের হচ্ছিলেন মাশরাফি। হাঁটতে হাটতেই অধিনায়ক জানালেন, শেষ সময়ে গিয়ে না পারার প্রবণতা থামাতে যেভাবেই হোক জিততে চেয়েছিলে তিনি।
“সাড়ে তিনশ’ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে পারলে খুব ভালো হতো। আমরা কাছে গিয়ে এমন কত ম্যাচ হেরেছি..। এই ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে আসার জন্য এই ম্যাচে জয়টা খুব দরকার ছিল।”
মাশরাফি যখন ক্রিজে আসেন তখন ১২.১ ওভারে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১১৬ রান। ভীষণ কঠিন সেই লক্ষ্যে দলকে পথ দেখান অধিনায়ক। খুনে মেজাজের ব্যাটিংয়ে ৩৫ বলে চারটি করে ছক্কা-চারে করেন ৫৮ রান।
“ইনিংসটা ভালো ছিল ঠিক আছে, কিন্তু দলকে তো জেতাতে পারলাম না। ওই সময়ে আসলে দরকার ছিল (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদকে স্ট্রাইক দেওয়া। ওরা স্লোয়ার দিচ্ছিল, ও তো ব্যাটসম্যান, আমার চেয়ে অনেক ভালো মারতে পারতো।”
অষ্টম উইকেটে ৯.৪ ওভার স্থায়ী ১০১ রানের জুটিতে মাশরাফির অবদানই বেশি। ছন্দে ফিরতে মরিয়া মাহমুদউল্লাহ সে সময় যতটা সম্ভব স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন অধিনায়ককে। মাশরাফি মনে করেন, ওয়ানডে সিরিজের আগে এই ম্যাচ থেকে নেওয়ার আছে অনেক কিছু।
“আমরা আমাদের মেইন ব্যাটসম্যানদের ছাড়াই আমরা আজকে প্রায় জিতে যাচ্ছিলাম। সাকিব-তামিম থাকলে দেখা যেত। এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং করা সহজ। এমন উইকেট হলে যে কোনো মাঠে তিনশ’ রান চেজ করা সম্ভব।”
প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেননি বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
আগামী শনিবার ডাম্বুলায় হবে প্রথম ওয়ানডে।