জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শেষ দিন ২ উইকেটে ৩২ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। উইকেটে সাব্বিরের সঙ্গে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। সেই ম্যাচ জেতাতে পারেননি সাব্বির, অপরাজিত ছিলেন এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। দল হেরেছিল ২২ রানে।
নিজেদের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারানোর পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় সেই ম্যাচের দুঃখ এখনো ভুলতে না পারার কথা বললেন সাব্বির।
“নাহ, ওই দুঃখ আমি কখনও ভুলতে পারবো না। এই জয়ে সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়বে হয়তো কিন্তু ওই হার এখনও পোড়ায়।”
লিটন দাস চোট না পেলে হয়তো পি সারা ওভালে খেলা হতো না সাব্বিরের। প্রথমবারের মতো চার নম্বরে নেমে ৪২ ও ৪১ রানের দুটি ইনিংস খেলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
“ভাবিনি খেলতে পারবো। শেষ পর্যন্ত খেলেছি, নিজেও ভালো করেছে, দল জিতেছে খুব ভালো লাগছে। মাঠে প্রচুর চাপ ছিল। আমার কাজই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করা আর নিজেদের দলের চাপ কমিয়ে দেওয়া। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে স্বাধীনতা নিয়ে খেলতে বলেছে।”
চট্টগ্রাম টেস্টে হারলেও ঢাকা টেস্টে জিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সমতায় সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ। দুই জয়ের মধ্যে একটাকে এগিয়ে রাখতে আপত্তি সাব্বিরের।
“সেটা ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে, সেরা একটি টেস্ট দলের সঙ্গে। এটা নিজেদের শততম টেস্টে জয়। দুইটা দুই ধরনের অর্জন।”
ওই দুই ম্যাচে খেলা তাইজুলও চান না যে কোনো একটি জয়কে বেছে নিতে, “দুইটা ভিন্ন রকম। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছিল বড় কোনো দলের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়। আর এটা বড় কোনো দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে প্রথম জয়।”
টেস্ট অভিষেক জয় দিয়ে শুরু করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তার শহর ময়মনসিংহেরই মোসাদ্দেক হোসেনের হয়ে গেল সেই অভিজ্ঞতা। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় কলম্বো টেস্টে খেলা এই তরুণ জানালেন নিজের প্রতিক্রিয়া।
“ব্যাটিংয়ে নামার সময় আমার মধ্যে একটুও স্নায়ু চাপ কাজ করেনি। উইকেট দেখে মনে হয়নি ভয়ের কিছু আছে। নামার সময়ই ঠিক করেছিলাম, মারার বল পেলে মারবো। ভালো হতো যদি জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতাম। দেশের শততম টেস্টে অভিষেক হয়েছে এটাই অনেক বড় ব্যাপার। (প্রথম ইনিংসে) শতক পাইনি বলে মন খারাপ হয়নি। দল জিতেছে খুব ভালো লাগছে। সেখানে নিজেও কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছি বলে আরও ভালো লেগেছে।”
জয়সূচক রান নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ জানান, শুধু জয়ের কথাই ভাবছিলেন তিনি।
“মোসাদ্দেক আউট হওয়ার পর যখন নামছিলাম তখনই ঠিক করেছিলাম, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ম্যাচ শেষ করবো। এমন একটা ম্যাচে খেলতে পেরে খুব ভালো লাগছে। দল খুব ভালো করেছে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে খুব ভালো লেগেছে।”
টানা তিন অর্ধশতকের পর সৌম্য সরকার ব্যর্থ খুব প্রয়োজনের সময়। শুরুতে উইকেট উপহার দিয়ে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চাপে ফেলে দিয়েছিলেন দলকে। দিন শেষে তিনি দলের অর্জনকেই মনে রাখতে চাইলেন তিনি।
“এতো ভালো লাগছে যে ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ক্রিকেটের ইতিহাসে এই টেস্টের নাম লেখা থাকবে। এই দলের সদস্য আমি। এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। দল হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করতে। শেষ পর্যন্ত পেয়েছি তারই ফল।”