তখনও জয়ের জন্য ২৪ রান দরকার ছিল বাংলাদেশের। মুশফিক ফিরে গেলে তিন বোলারকে নিয়ে বাকি পথ পার হতে হতো মোসাদ্দেক, মেহেদী হাসান মিরাজের। অধিনায়ক অবশ্য আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, পারবে সতীর্থরা।
৪ উইকেটে ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলেন অধিনায়ক শোনাচ্ছিলেন সেই সময়ে কী ঝড় তার মনে বয়ে যাচ্ছিল।
“মনে হচ্ছিল আমি আউট। আমার প্রথমে মনে হচ্ছিল, স্টাম্প মিস করবে, তাই প্যাড আপ করেছিলাম। যখন আউট দিয়ে দিয়েছে, তখন রিভিউ নিতে ভয় পাচ্ছিলাম। কারণ, এরপর আরও ক্রাইসিস মোমেন্ট আসতে পারে যখন রিভিউ লাগতে পারে। এই জন্য আমি নিতে চাচ্ছিলাম না।”
“মোসাদ্দেক এসে বললো, ভাই রিভিউ নেন, স্টাম্প মিসও করতে পারে। শেষ মুহূর্তে ভাবলাম, আচ্ছা নিই। যদি মিস করে যায় তাহলে হয়তো বেঁচে যেতে পারি। স্টাম্পে না লাগায় বেঁচে গেছি। খুবই টেনশনে ছিলাম। তবে বিশ্বাস ছিল, আমি আউট হলেও জিততে পারবো। ইচ্ছে ছিল নিজে নট আউট থেকে ম্যাচটা জিতিয়ে আনবো।”
ইচ্ছে পূরণ হয়েছে অধিনায়কের। দেশকে ছয়টি টেস্ট জয়ে নেতৃত্ব দেওয়া মুশফিক মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই।
“টেস্ট ক্রিকেটে এ রকম পরিস্থিতিতে আমি কখনও পড়িনি। পঞ্চম দিনের উইকেটে এভাবে চেজ করা; আমাদের জন্য নতুন। এই ম্যাচ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার ছিল।”