শততম টেস্টে স্বপ্নের জয়

স্বপ্ন নিয়ে শুরু হয়েছিল শেষ দিনের সকাল। চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে, আশা আর শঙ্কার দোলাচল শেষে বিকেলে ধরা দিল সেই স্বপ্ন। শততম টেস্টের মাহেন্দ্রক্ষণে অসাধারণ এক জয়! সিরিজে পিছিয়ে থাকা, ম্যাচের আগে মাঠের বাইরের হাজারো বিতর্ক, তুমুল আলোচনা-সমালোচনা, সব পেছনে ফেলে ৪ উইকেটের জয়। বিদেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের বিরল স্বাদ।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 March 2017, 04:39 AM
Updated : 19 March 2017, 04:16 PM

শঙ্কার মেঘ ঠেলে জয়ের উচ্ছ্বাস

হেরাথের বলে মিরাজের সুইপ। স্কয়ার লেগে মিসফিল্ড। দুটি রান। মুশফিকের ডানা মেলে দেওয়া। উড়ে এসে আলিঙ্গনে আবদ্ধ মিরাজ। জয়ের মুহূর্ত!

চা বিরতির পরপরই সাকিবকে হারানোর ধাক্কা। একটু শঙ্কার মেঘ। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নিয়ে মুশফিকের টিকে যাওয়া, ফিরতি ক্যাচ দিয়েও মোসাদ্দেকের বেঁচে যাওয়া, দু-তিনটি সাহসী শট, কাছে গিয়েও আউট হওয়া, শেষ পর্যন্ত মিরাজের ব্যাটে জয় এনে দেওয়া রান!

১৯১ রান তাড়ায় ৪ উইকেটের জয়। ২২ রানে অপরাজিত মুশফিক, ২ রানে মিরাজ।

পিছিয়ে থেকেও বাংলাদেশ ড্র করল সিরিজ। ১০০ টেস্টে মাত্র নবম জয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৮ টেস্টে প্রথম জয়ের স্বাদ।

টানা ছয় ম্যাচ জয়ের পর দেশের মাটিতে হারের স্বাদ পেল শ্রীলঙ্কা।

চা-বিরতির পর সাকিব-ধাক্কা
 
চা-বিরতির পর নিস্তরঙ্গ দুটি ওভার। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই পেরেরাকে কাট করতে গিয়ে সাকিব বল টেনে আনলেন স্টাম্পে।
 
শুরুতে বুঝতে পারেননি কেউই। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় অফ স্টাম্পে হালকা চুমু দিয়ে বল ফেলে দিয়েছে বল। সাকিব ফিরলেন ১৫ রানে। বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৬২। জিততে তখন চাই ২৯ রান।

স্বপ্নের আবির মেখে শেষ সেশনে
 
দ্বিতীয় সেশনে হারাতে হয়েছে দুটি উইকেট। তবে এই সেশনই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছে জয়ের লক্ষ্যে। আউট হওয়ার আগে তামিম ও সাব্বিরের ১০৯ রানের জুটি দেখিয়েছে পথ। চা-বিরতির আগের সময়টুকু কাটিয়ে দিয়েছেন সাকিব ও মুশফিক। 
 
চা-বিরতিতে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে রান ১৫৬। শেষ সেশনে চাই আর মাত্র ৩৫ রান। 
 
দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান উইকেটে। চতুর্থ ইনিংসে দুজনের রেকর্ডও বেশ ভালো। জয়টা নাগালে ভাবতেই পারে বাংলাদেশ!

ফিরলেন সাব্বির, জমল রোমাঞ্চ
 
তামিমের বিদায়ের পর বেশি সময় টিকতে পারলেন না বড় জুটিতে তার সঙ্গী সাব্বির রহমানও। এলবিডব্লিউ দিলরুয়ান পেরেরার বলে।
 
সুইপ শটটা ইনিংস জুড়েই ভালো খেলেছেন সাব্বির। আউট হলেন সুইপ খেলেই। এলিবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার এস রবি সাড়া দেননি। শ্রীলঙ্কা জিতেছে রিভিউ নিয়ে।
 
৪১ রানে ফিরলেন সাব্বির। বাংলাদেশের রান তখন ৪ উইকেটে ১৪৩। জিততে চাই ৪৮ রান।

শেষ করতে পারলেন না তামিম
 
দলকে জয়ের পথে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু পারলেন না পথের শেষ পর্যন্ত টেনে নিতে। দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ৮২ রানে ফিরলেন পেরেরাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে।
 
লাঞ্চের পর দারুণ গতিতে এগিয়ে চলছিল বাংলাদেশ। তামিম ও সাব্বির খেলছিলেন কোনো সমস্যা ছাড়াই। সেটিই হয়ত বাড়িয়ে দিয়েছিল আত্মবিশ্বাস। তামিম চাইলেন ছক্কা মারতে। লং অফের ফিল্ডার ছিল সীমানা থেকে একটু ভেতরে। বলের দিকে চোখ রেখে পেছনে সরে দারুণ ক্যাচ নিলেন চান্দিমাল।
 
বাংলাদেশ ৩ উইকেটে ১৩১। বাংলাদেশের চাই আর ৬০ রান।

শতরানের অমূল্য জুটি
 

ঠিক আগের দিনের মতোই। লাঞ্চের পর বাংলাদেশের বদলে যাওয়া! আগের দিন বল হাতে খেলার মোড় বদলে দিযেছিল বাংলাদেশ। এবার ব্যাট হাতে। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে চলেছেন তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান।
লাঞ্চের পর দুজনই খেলেছেন অসাধারণ। বিশেষ করে তামিমের পায়ের কাজ ছিল দেখার মত। থিতু হতে দেননি লঙ্কান স্পিনারদের। চায়নাম্যান সান্দকানকে টানা দুই বলে মেরেছেন চার-ছক্কা। আরেক পাশে সাব্বির খেলে গেছেন নিজের মতো। সামান্য সুযোগেও বল পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে।
জুটি রান ১০১। চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় শতরানের জুটি। আগেরটিতেও ছিলেন তামিম। মুমিনুল হকের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ১১০ রানের জুটি। বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১২৩। জিততে প্রয়োজন আর ৬৮ রান। ৭৬ রানে খেলছেন তামিম, ৩৬ সাব্বির।

চতুর্থ ইনিংসে তামিমের চতুর্থ
 
চতুর্থ ইনিংসে তামিমের ব্যাটিং গড় অন্য তিন ইনিংসের তুলনায় কম। তবে এবার দলের ভীষণ প্রযোজনের সময় খেলছেন দারুণ এক ইনিংস। ছুঁয়ে ফেললেন পঞ্চাশ।
 
চতুর্থ ইনিংসে তামিমের এটি চতুর্থ অর্ধশতক। ৮৭ বলে স্পর্শ করলেন পঞ্চাশ।
 
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৮। জিততে চাই আর ১০৩। তামিমের রান ৫৫, সাব্বির ২৩।

 

লক্ষ্যের পথে জুটির পঞ্চাশ
 
জোড়া উইকেটের ধাক্কা অনেকটা সামাল দিয়েছে বাংলাদেশ। লাঞ্চের পর তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমানের ব্যাটে দেখা গেছে অনেক বেশি নির্ভরতা। দুজনই খেলছেন ইতিবাচক। জুটির রান পেরিয়েছে অর্ধশতক।
 
দুজনই চার মেরেছেন রিভার্স সুইপে। দুজনই খেলেছেন দারুখ কয়েকটি ড্রাইভ। হেরাথকে সাব্বিরের দারুণ এক অন ড্রাইভে বাউন্ডারিতেই জুটি ছুঁয়েছে পঞ্চাশ। ডিফেন্সও করছেন তারা আত্মবিশ্বাসে।
 
বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৭৪। জিততে চাই আর ১১৭ রান। জুটির রান ৫২। তামিম খেলছেন ৪১ রান নিয়ে, ২৩ রানে সাব্বির।

শঙ্কা আর আশা নিয়ে লাঞ্চে
 
সকালে শ্রীলঙ্কার শেষ দুটি উইকেট তুলে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। তবে তার আগেই যোগ হয়েছে আরও ৫১ রান। 
 
প্রতিপক্ষের দুই উইকেট নিতে দেরি, নিজেদের দুই উইকেট হারাতে দেরি নয়। ১৯১ রান তাড়ায় পরপর দুই বলে বাংলাদেশ হারিয়েছে সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েসকে। ৩৯তম জন্মদিনে শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা জাগিয়ে রেখেছেন রঙ্গনা হেরাথ।
 
সব মিলিয়ে বলা যায় শেষ দিনের প্রথম সেশনটি শ্রীলঙ্কারই। 
 
জোড়া ধাক্কার পর লাঞ্চের আগে আর বিপদ হয়নি। তামিম ইকবাল ও সাব্বির রহমান পার করে দিয়েছেন সময়টুকু। 
 
লাঞ্চের সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৩৮। জিততে চাই আরও ১৫৩। দিনের ওভার বাকি ৫৯। ২২ রানে উইকেটে তামিম, ৬ রানে সাব্বির।

উড়িয়ে আউট সৌম্য, ব্যাট বাড়িয়ে ইমরুল
 
বল স্পিন-টার্ন করছে। স্পিনাররা পেয়ে বসছে। এটিই হয়ত খেলা করলো সৌম্য সরকারের মাথায়। বেরিয়ে এসে খেলতে চাইলেন। লং অফে ফিল্ডার ছিল সীমানায়। তার পরও উড়িয়ে মারলেন। টাইমিংয়ে গড়বড়। লং অফেই উপুল থারাঙ্গার হাতে ক্যাচ।
 
আউটের পথ তৈরি করেছিল আগের বলটিই। ফ্লাইট দিয়ে রাফে ফেলে বড় টার্ন করিয়েছিলেন হেরাথ। সেটিই হয়ত ভয় ধরিয়েছিল সৌম্যর মনে। ফিরলেন ১০ রানে।
 
পরের বলেই আরেকটি উইকেট। সেই টার্নের ভয়। প্রথম বলটিতেই ব্যাট বাইরে বাড়িয়ে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ভেবেছিলেন টার্ন করবে। কিন্তু টার্ন করল না। ব্যাটের কানা নিয়ে স্লিপের হাতে।
 
৩৯তম জন্মদিনে দারুণ দুটি ব্রেক থ্রু এনে দিলেন হেরাথ। বাংলাদেশ ২ উইকেটে ২২, লক্ষ্য ১৯১।

অবশেষে শেষ শ্রীলঙ্কা
 
একটি বড় জুটির ভাঙন অনেক সময়ই ডেকে আনে আরেকটি। সুরঙ্গা লাকমল রান আউট হওয়ার পর চালিয়ে খেলতে চেযেছিলেন লাকমল। উড়িয়ে মেরেছিলেন সাকিব আর হাসানকে। সীমানায় ক্যাচ নিয়েছেন মোসাদ্দেক।
 
ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৪২ করে ফিরলেন লাকমল। শ্রীলঙ্কা অলআউট ৩১৯ রানে।
 
চারটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, মুস্তাফিজ ৩টি।
 
শততম টেস্ট জিততে বাংলাদেশের চাই ১৯১ রান। 
 
এর চেয়ে কম রানের পুঁজি নিয়ে দুটি টেস্ট জয়ের কীর্তি আছে শ্রীলঙ্কার। দুটিই গলে, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে।
 

রান আউটে ভাঙল জুটি
 
'নেভার রান আ মিসফিল্ড”, ক্রিকেটের অনেক পুরোনো একটি কথা। সেটিই নতুন করে উপলব্ধি করলেন দিলরুয়ান পেরেরা। মিসফিল্ডে রান নিতে গিয়ে রান আউট।
 
চোট পেয়ে বেশ কিছুটা সময় ধরেই রানিং বিটুইন দা উইকেটে ভুগছিলেন পেরেরা। এবার মিসফিল্ডে দ্রুত রান নিতে গিয়ে রান আউট। ভাঙল বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা হয়ে ওঠা নবম জুটি। মিসফিল্ডের পর শুভাশীষ রায়ের থ্রো খুব ভালো ছিল না। মিরাজ ধরেছেন খুব ভালো, সেরেছেন বাকি কাজ।
 
আউট হওয়ার আগে শ্র্রীলঙ্কার আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে এসেছেন পেরেরা। নিজে করেছেন ৫০ রান।
 
নবম জুটিতে সুরঙ্গা লাকমলের সঙ্গে গড়েছেন ৮০ রানের জুটি। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় যেটি হতে পারে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ।
 
শ্রীলঙ্কার রান ৯ উইকেটে ৩১৯। এগিয়ে ১৮৯ রানে।

নবম জুটিতে লঙ্কার আশার ভেলা
 
মুস্তাফিজের কাটারে আবারও বিভ্রান্ত লাকমল। আগের বার বল পড়েছিল তার খুব কাছেই। এবার মিস টাইমিং হলেও বল উড়ে গেল কাভার ফিল্ডারের ওপর দিয়ে। মুস্তাফিজের চোখে-মুখে হতাশা!
 
ওই ওভারেই দিলরুয়ান পেরেরার বাউন্ডারিতে নবম জুটি ছাড়িয়েছে পঞ্চাশ। রান উঠেছে এর পরও। প্রতি ওভারেই এগিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ হারিয়েছে দুটি রিভিউও। 
 
দিনের শুরুতে ১৭৫ রানের লিডের আশা করেছিলেন সান্দাকান। দুই উইকেট অক্ষত রেখেই লক্ষ্য ছুঁয়েছে শ্রীলঙ্কা।
 
১০৭ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার রান ৮ উইকেটে ৩০৬। এগিয়ে তারা ১৭৭ রানে।
৪৫ রানে খেলছেন পেরেরা, ৩৪ রানে লাকমল।
 
প্রথম ইনিংসেও লাকমল করেছিলেন মহামূল্য ৩৫। ১০ বা ১১ নম্বরে নেমে দুই ইনিংসেই ৩০ ছোঁয়া ইতিহাসের মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যান লাকমল।

দেড়শ ছাড়িয়ে শ্রীলঙ্কার লিড
 
মুস্তাফিজের কাটারে পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়েছিলেন লাকমল। ব্যাটে লেগে বল উঠল ওপরে। কিন্তু আশেপাশে নেই ফিল্ডার। বোলার ছুটে গিয়ে চেষ্টা করলেন, আসার চেষ্টা করলেন স্লিপ ফিল্ডার। কিন্তু অতটা দ্রুত বলের কাছে যেতে পারলেন না কেউ।
 
বেঁচে গিয়ে তাৎক্ষনিক ভোগালেন লাকমল। পরের বলে স্লিপের ওপর দিয়ে চার। তার পরের বলে দারুণ কাভার ড্রাইভে চার। শ্রীলঙ্কার লিড ছাড়িয়ে গেল দেড়শ! রান ৮ উইকেটে ২৮২। এগিয়ে ১৫৩ রানে। 
 
লাকমলকে ‘ওয়ার্নিং’
 
পিচের বিপজ্জনক জায়গায় বুট দিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিলেন লাকমল। সাকিবের বল খেলেই রান ছুটেছিলেন পিচের মাঝ বরাবর! আম্পায়ার আলিম দারের চোখ এড়ায়নি। ‘অফিসিয়াল ওয়ার্নিং’ দেওয়া হয়েছে লাকমল ও শ্রীলঙ্কাকে। এরপর শুধু লাকমল নয়, শ্রীলঙ্কার যে কেউই এটির পুনরাবৃত্তি করলে ৫ রান কাটা যাবে দলের রান থেকে।

জয়ের আশায় দিনের শুরু
 
শততম টেস্টে জয়। দেশের বাইরে বিরল জয়। সিরিজ ড্র। বাংলাদেশের হাতছানি দারুণ কিছুর। স্বপ্নের আবির মেখে শুরু হচ্ছে পি সারা ওভালে কলম্বো টেস্টের শেষ দিন।
 
২ উইকেট হাতে নিয়ে ১৩৯ রানে এগিয়ে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের চাওয়া থাকবে দ্রুত শেষ দুটি উইকেট তুলে নেওয়া। আগের দিনের খেলা শেষে মোসাদ্দেক হোসেন বলেছেন, লক্ষ্যটা ১৬০ রানের মধ্যে রাখতে চায় বাংলাদেশ। এর চেয়ে বেশি হলে আসলেই হয়ে উঠতে পারে কঠিন।
 
দিনের খেলা শুরুর আগে তামিম ইকবাল টেন ক্রিকেটকে জানালেন, এখনই জয়ের কথা ভাবছে না দল। আগে শেষ দুটি উইকেট তুলে নেওয়া। তার পর রান তাড়ার ভাবনা। রান তাড়ায় গুটিয়ে না গিয়ে ইতিবাচক থাকবে বাংলাদেশ।
 
শ্রীলঙ্কান চায়নাম্যান বোলার লাকশান সান্দাকানের চাওয়া, ১৭৫ রানের মত লিড। তাহলেই থাকবে জয়ের সুযোগ।
 
শেষ দিনের উইকেটে রঙ্গনা হেরাথ, আরও দুই লঙ্কান স্পিনারকে সামলে দেড়শ রান করাও সহজ হওয়ার করা নয়। তবে টেস্ট জিততে হলে তো এইটুকু চ্যালেঞ্জ জিততে হবেই!
 
দেশের মাটিতে টানা ছয় টেস্ট জিতেছে শ্রীলঙ্কা। দেশের বাইরে সবশেষ ৬ টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ দিনে শেষ হতে পারে দুটি ধারাই!