‘মুস্তাফিজ অন্যতম সেরা, সাকিব সব সময়ের সেরা’

প্রথম সেশনে সাফল্য মাত্র একটি। উইকেটে জমে গেছেন দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিস। দ্বিতীয় সেশনে ম্যাচ থেকে দূরে যাওয়ার শঙ্কা। এমন সময়ে জ্বলে উঠেন মুস্তাফিজুর রহমান ও সাকিব আল হাসান। দলকে ম্যাচে ফেরানো দুই বোলারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদক কলম্বো থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2017, 03:03 PM
Updated : 18 March 2017, 03:30 PM

কদিন আগেই বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন আগের বোলার নেই সাকিব। পরিসংখ্যান অবশ্য বাঁহাতি স্পিনারের পক্ষেই বলছে। গত তিন বছরে তিনিই দলের সেরা বোলার। এই সময়ে ১৫ টেস্টে ৩২.৬২ গড়ে নিয়েছেন ৫৩ উইকেট। যা তার ক্যারিয়ার গড় ৩৩.১৬ থেকে খানিকটা ভালো।

সাকিবের পর ১৩ টেস্টে সবচেয়ে বেশি ৪৮ উইকেট নিয়েছেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। ৭ টেস্টে অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার ৩৫ উইকেট।

পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২টি উইকেট মুস্তাফিজের। বাঁহাতি এই পেসারের গড়ই সবচেয়ে ভালো ২১। শফিউল ইসলাম (৩৩.১৪) ছাড়া অন্য সব খেলোয়াড়ের গড় অনেক বেশি।

কলম্বোর পি সারা ওভালে শনিবার চতুর্থ দিনের খেলা শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মোসাদ্দেক জানান, প্রত্যাশিতভাবেই দলের সবচেয়ে প্রয়োজনের সময় নিজেদের মেলে ধরেছেন সেরা দুই বোলার।  

“বিশ্বের অনতম্য সেরা বোলার এখন মুস্তাফিজ। সাকিব ভাই তো সবসমই সেরা। তাদের দুইজনের কি দায়িত্ব সেটা তারা ভালো করেই জানেন। তারা জানেন কোন পরিস্থিতিতে কি করতে হবে। তাদের চেষ্টাতেই আমরা ম্যাচে ফিরেছি।”

১ উইকেটে ১৪৩ রান থেকে ১৯০ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে শ্রীলঙ্কা। পরে ২১৭ রানে ফিরেন শতক করা দিমুথ করুনারত্নে। তিনটি করে উইকেট নিয়ে দলকে চালকের আসনে নিয়ে যান মুস্তাফিজ-সাকিব। 

লাঞ্চের পর কুসল মেন্ডিসকে আউট করে লঙ্কান প্রতিরোধ ভাঙেন মুস্তাফিজ। মোসাদ্দেক মনে করেন, ওই উইকেটই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

“লাঞ্চের পর আমাদের সবচেয়ে দরকার ছিল একটা ‘ব্রেক থ্রু’। আমরা সেটা নিয়েই চিন্তা করছিলাম। এরপর একটা উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আমরা মূলত ম্যাচে ফিরি।”

প্রথম সেশনে ওভার দ্য উইকেটে বল করা মুস্তাফিজ ততটা কার্যকর ছিলেন না। দ্বিতীয় সেশনে রাউন্ড দ্য উইকেটে এসে ৬ ওভারের স্পেলে তুলে নেন ৩ উইকেট। 

“এমন না যে ওর কাটারগুলো উইকেটে ধরছিল। ও ভালো একটা জায়গায় বল করছিল। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কখন ব্যাটসম্যানরা ভুল করবে। সেটা করাতেই উইকেট পেয়েছি।”