স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ, লড়ছে শ্রীলঙ্কা

সম্ভাবনা জাগিয়েও চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। তবে সম্ভাবনা শেষও হয়নি। শততম টেস্টে অসাধারণ এক জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ১৩৯ রানে, হাতে উইকেট দুটি।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2017, 04:36 AM
Updated : 18 March 2017, 02:01 PM

শেষ হয়েও হলো না শেষ
 
দিনের শেষ বলে দারুণ নাটক। মোসাদ্দেকের বলে ব্যাট-প্যাড ক্যাচের আবেদন। আম্পায়ার আলিম দার শুরুতে মাথা নেড়ে সায়ও দিলেন। কিন্তু মুহূর্ত পরেই আবার মাথা নেড়েই বুঝিয়ে দিলেন আউট নয়!
 
বাংলাদেশ রিভিউ নিল। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর মত শতভাগ নিশ্চিত হতে পারেননি তৃতীয় আম্পায়ার। বেঁচে গেলেন সুরাঙ্গা লাকমল। 
 
রঙ্গনা হেরাথ যখন আউট হয়েছিলেন, দিনের খেলার বাকি প্রায় ১০ ওভার। কিন্তু নবম জুটিতে সেই সময়টা কাটিয়ে দিলেন দিলরুয়ান পেরেরা ও লাকমল। জুটিতে দুজন তুলে ফেলেছেন ৩০ রান!
 
৮ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে শ্রীলঙ্কা শেষ করেছে চতুর্থ দিন। ১২৬ বলে ২৬ রান করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন পেরেরা। ১৬ রানে অপরাজিত লাকমল।

তাইজুল এলেন, উইকেট নিলেন
 
দীর্ঘক্ষণ বোলিংয়ে আনা হয়নি তাইজুল ইসলামকে। শেষ ঘণ্টার আগে সারা দিনে বোলিং করেছেন ৬ ওভার। একটু জড়তা থাকতেই পারত স্পেলের শুরুতে। তাইজুল দেখালেন উল্টো। যেন সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। দ্বিতীয় বলেই উইকেট!
 
হেরাথ ও পেরেরার জুটি উইকেটে কাটিয়ে দিয়েছিল প্রায় ১০ ওভার। হেরাথকে ফিরিয়ে তাইজুল ভাঙলেন জুটি। শ্রীলঙ্কা শেষের আরেকটু আগে।
 
রান ৮ উইকেটে ২৩৮। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ১০৯ রানে।

সাকিব ভাঙলেন করুনারত্নের দেয়াল
 
অফ স্টাম্পের বাইরে ঝুলিয়ে দেওয়া বল বাইরে টেনে আনল করুনারত্নেকে। মন্ত্রে বশীভূত হওয়ার মত ব্যাট পেতে দিলেন। টার্ন না করে বল গেল সোজা। কানা ছুঁয়ে স্লিপে সৌম্যর হাতে। এই টেস্টে সৌম্য তো স্লিপে দুর্দান্ত!
 
করুনারত্নের দেয়াল ভাঙলেন সাকিব। সরল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা। দিলরুয়ান পেরেরার সঙ্গে জমাট জুটিতে গড়েছিলেন প্রতিরোধ। ২২.২ ওভারে ২৭ রানের জুটি!
 
দারুণ এক ইনিংস খেলে ১২৬ রানে ফিরলেন করুনারত্নে। সৌম্য নিলেন পঞ্চম ক্যাচ। বাংলাদেশের রেকর্ড। রান ৭ উইকেটে ২১৭। শ্রীলঙ্কা এগিয়ে ৮৮ রানে। 
 
বাধা এখন পেরেরা। খেলছেন ৬৪ বলে ৪ রানে। এলবিডব্লিউ হতে পারতেন যদিও সাকিবের বলে। আম্পায়ার আলিম দার আউট দেননি। বাংলাদেশের ছিল না রিভিউ। টিভি রিপ্লে দেখিয়েছে, নিশ্চিত আউট।

স্বপ্নময় এক সেশন
 
কৌতূহল জাগতেই পারে, লাঞ্চে কি খেয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা?
 
প্রথম সেশনে বিবর্ণ দলই অসাধারণ ভাবে বদলে গেল দ্বিতীয় সেশনে। সকালেই দারুণ এক ডেলিভারিতে থারাঙ্গাকে ফিরিয়েছিলেন মিরাজ। এরপর আর প্রথম সেশনে উইকেট হারায়নি শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিস গড়েছিলেন দারুণ জুটি।
 
দ্বিতীয় সেশনেই চিত্র গেল বদলে। মুস্তাফিজ ও সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ধরা দিল একের পর এক উইকেট। মুস্তাফিজ নিলেন ৩ উইকেট, সাকিব ২টি।
 
করুনারত্নে অবশ্য চালিয়ে যাচ্ছেন চোয়ালবদ্ধ লড়াই। চা-বিরতির আগে সপ্তম উইকেটে লড়েছেন দিলরুয়ান পেরেরাকে নিযে। ৯.৫ ওভার খেলে জুটির রান ৯।
 
চা-বিরতির সময় শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ১৯৯। এগিয়ে তারা ৭০ রানে। ১১০ রানে খেলছেন করুনারত্নে।

অসাধারণ মুশি, সাকিব খুশি
 
সাকিবের বলে একটু আগেই রিভিউয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন অল্পের জন্য। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না নিরোশান ডিকভেলা। ফেরালেন সেই সাকিবই। তবে যতটা না সাকিবের, উইকেটটি যেন আরও বেশি মুশফিকের।
 
লেগ স্টাম্পে থাকা বলটি প্যাডল সুইপ করেছিলেন ডিকভেলা। ব্যাটসম্যানকে সুইপ করতে দেখেই দ্রুত লেগ স্টাম্পের বাইরে সরে আসেন মুশফিক। বলটির উচ্চতা তবু ছিল ক্যাচ নেওযার জন্য কঠিন। মুশফিক গ্লাভসে জমালেন দারুন ক্ষিপ্রতায়। চওড়া হাসিতে উচ্ছ্বাসে মাতলেন সাকিব।
 
বাংলাদেশের প্রথম কিপার হিসেবে ডিসমালের সেঞ্চুরি হলো মুশফিকের। ১০০ ডিসমিসাল!
ডিকভেলা ফিরলেন ৫ রানে। শ্রীলঙ্কার রান ৬ উইকেটে ১৯০। এগিয়ে তারা ৬১ রানে।
 
বাংলাদেশের মূল বাধা হয়ে টিকে করুনারত্নে। খেলছেন ১০৩ রানে।

করুনারত্নের লড়িয়ে সেঞ্চুরি
 

এক পাশ থেকে পড়ছে উইকেট। আরেকপাশে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন দিমুথ করুনারত্নে। সেই লড়াইয়ের পুরস্কার দারুণ এক সেঞ্চুরি। 
শ্রীলঙ্কা পঞ্চম উইকেট হারানোর পর এই ওপেনার স্পর্শ কলেন পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। দলের প্রযোজনের সময় তো বটেই, নিজের জন্যও এই সেঞ্চুরি তার ছিল ভীষণ জরুরি। গত ১০ ইনিংসে পঞ্চাশ ছিল না, গড় এই সময়টায় ছিল ১১.৬। দলে জায়গা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। ব্যাটেই দূর করলেন প্রশ্নগুলো।
তবে দল তার কাছে চাইবে আরও বড় কিছু। ভরসা হয়ে টিকে তিনিই। 
শ্রীলঙ্কার রান ৫ উইকেটে ১৮৪। এগিয়ে ৫৫ রানে।

মুস্তাফিজের আরেকটি, কাঁপছে শ্রীলঙ্কা
 
৬ ওভারের স্পেল, একটু কি বেশি হয়ে গেল চোট কাটিয়ে ফেরা মুস্তাফিজের জন্য? প্রশ্নটার রেশ থাকতে থাকতেই উত্তর। মুস্তাফিজ ষষ্ঠ ওভারেও উজার করে দিলেন নিজেকে। মিলল সাফল্য। বিদায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
 
ওভারের শেষ বলটি ফুল লেংথ, খেলতে গিয়ে আবার নিজেকে সামলালেন ধনঞ্জয়া। তাতে আরও বিপদ। বল ব্যাটে লেগে কিপারের গ্লাভসে। খুলতে পারেননি রানের খাতা। মুস্তাফিজের তৃতীয় উইকেট। 
 
শ্রীলঙ্কার রান ৫ উইকেটে ১৭৭। এগিয়ে ৪৮ রানে। 
 
লাঞ্চের পর ৩৫ রানের মধ্যে নেই ৪ উইকেট। বাংলাদেশ খেলা ফিরেছে দারুণভাবে। 
প্রথম দুই স্পেলে ৬ ওভারে ১৮ রান দিয়ে মুস্তাফিজছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে প্রথম ৬ ওভারে ১৮ রান দিয়েই ৩ উইকেট!

সাকিবের প্রথম, উড়ন্ত বাংলাদেশ
আসেরা গুনারত্নে কি ভাবছিলেন কে জানে! সাকিবের সোজা বল পা বাড়িয়েও না খেলে ছেড়ে দিলেন। শট অফার না করার পর আম্পায়ার আলিম দারের কাজটি ছিল সহজ। স্রেফ আঙুল তুলে দেওয়া। 
টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, ইমপ্যাক্ট অফ স্টাম্পের বাইরে। তবে শট না খেলায় ইমপ্যাক্ট বিবেচনায় আসছে না। ৭ রানে আউট গুনারত্নে। সাকিব পেলেন প্রথম উইকেট।
লাঞ্চের পর এক ঘণ্টার কম সময়ে বাংলাদেশ তুলে নিল ৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কার রান ৪ উইকেটে ১৭৬। এগিয়ে তারা ৪৭ রানে। ৯৪ রানে খেলছেন করুনারত্নে।

মুস্তাফিজের বাঁহাতে বাংলাদেশের ফেরা
 
দ্বিতীয় উইকেট জুটি গড়ে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ। ম্যাচের লাগামও হাতে নিচ্ছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু লাগাম আবার ফিরল বাংলাদেশের হাতে। ফিরিয়ে আনল মুস্তাফিজের বাঁহাত।
 
কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে ভেঙেছিলেন দ্বিতীয় জুটি। এরপর মুস্তাফিজ ফেরালেন বাংলাদেশের বরাবরের বাধা দিনেশ চান্দিমালকেও। প্রথম ইনিংসে দারুণ সেঞ্চুরি করা চান্দিমাল এবার করেছেন ৫ রান।

বলটি অবশ্য উইকেট নেওয়ার মত ছিল না। অনেক বাইরের বল তাড়া করেছিলেন চান্দিমাল। উইকেটের পেছনে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম।
 
বলটি ভালো না হলেও উইকেট নেওয়ার মত ভালো বল মুস্তাফিজ বেশ কিছুই করেছেন। রাউন্ড দা উইকেটে বোলিংয়ে আসার পর থেকেই বেশ ভোগাচ্ছেন লঙ্কানদের।

শ্রীলঙ্কার রান ৩ উইকেটে ১৬৫। লিড ৩৬ রানের। ৯০ রানে খেলছেন করুনারত্নে।

অবাক রিভিউ!
 
বল গ্লাভসে জমা হওয়ার পর শুরুতে আবেদন করেনি মুশফিকুর রহিম। আবেদন করলেন বোলার মুস্তাফিজকে দেখে। যোগ দিলেন অন্যরাও। খালি চোখে দেখে বিপজ্জনক মনে হয়নি। আম্পায়ার আউটও দেননি। কিন্তু মুশফিক নিলেন রিভিউ। জিতলেনও!
 
আম্পায়ার আউট না দিলে সেই সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে শতভাগ নিশ্চিত হতে হবে তৃতীয় আম্পায়ারকে। কঠিন। এক্ষেত্রে হয়ত মারাইস ইরাসমাস নিশ্চিত হয়েছেন শব্দ শুনে। সামান্য একটু শব্দ পাওয়া গেছে অডিওতে। ব্যাট শরীর বা প্যাড থেকে ছিল বেশ দূরে। ব্যাটে বল ছোঁয়া ছাড়া সেই শব্দ হওয়ার কারণ নেই। 
 
মুস্তাফিজের দারুণ ডেলিভারি, তার চেয়েও দারুণ রিভিউয়ে মিলল উইকেট। ভাঙল ৮৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। মেন্ডিস ফিরলেন ৩৬ রানে।
 
শ্রীলঙ্কার রান ২ উইকেটে ১৪৩। এগিয়ে তারা ১৪ রানে।

ঘাটতি পুষিয়ে লাঞ্চে শ্রীলঙ্কা
 
দুই ব্যাটসম্যানের একটু বোঝাবুঝি। তামিমের থ্রো। সরাসরি লাগলেই রান আউট হতেন কুসল মেন্ডিস। কিন্তু স্টাম্পের কাছেও থাকলো না বল। 
 
বাঁচলেন মেন্ডিস। রক্ষা শ্রীলঙ্কার। সেটি লাঞ্চের দুই ওভার আগে। ওই ওভারেই প্রথম ইনিংসের ঘাটতি পুষিয়ে শ্রীলঙ্কা নেয় লিড। পরেও হারায়নি আর উইকেট। 
 
দিনের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে উপুল থারাঙ্গাকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। লাঞ্চ আর বিপদ হতে দেননি দিমুথ করুনারত্নে ও মেন্ডিস। বাংলাদেশের বোলিংয়ের শুরুটা দারুণ হলেও আস্তে আস্তে একটু হারিয়েছে ধার। অধিনায়ক মুশফিকও একটু দ্রুতই আলগা করেছেন ফিল্ডিংয়ের ফাঁস।
 
প্রথম সেশনে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ৮৩ রান। লাঞ্চের সময় দলের রান ১ উইকেটে ১৩৭। এগিয়ে তারা ৮ রানে।
 
৬৭ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশন শুরু করবেন করুনারত্নে, ৩৬ রানে মেন্ডিস।

সকালের ধাক্কা সামাল
 
সাত-সকালেই উপুল থারাঙ্গাকে হারানোর পর আস্তে আস্তে সামলে নেয় শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিস দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন পঞ্চাশ রানের জুটি। করুনারত্নে পেয়ে গেছেন ব্যাক্তিগত অর্ধশতকও। 
 
শ্রীলঙ্কার রান ১ উইকেটে ১০৭। বাংলাদেশ এগিয়ে ২২ রানে। ৫১ রানে উইকেটে করুনারত্নে। মেন্ডিস ২২।
 
একটি সুযোগ মতো এসেছিল। মিরাজের বলে ১২ রানে মেন্ডিসের ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ মতো এসেছিল শর্ট লেগে। ইমরুল কায়েসের কাজটা ছিল কঠিন। এসব ক্ষেত্রে বল হাতে আটকে গেলেই ক্যাচ হয়, ধরা অনেক কঠিন।

‘দা নেম ইজ মেহেদী’
 
অসাধারণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড উপুল থারাঙ্গা। ধারাভাষ্যকক্ষে ডিন জোন্সের চিৎকার, “লুক অ্যাট দা বয়, দা নেম ইজ মেহেদী।”
 
মেহেদী হাসান মিরাজের ডেলিভারিটি ছিল রোমাঞ্চিত আর উত্তেজিত ছিল হওয়ার মতোই। লেগ মিডলে পিচ করে বল টার্ন করে ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে স্টাম্পে চুমু। থারাঙ্গার চোখে মুখে বিস্ময়। স্বপ্নের এক ডেলিভারি!
 
মিরাজের সেটি দিনের প্রথম বল। দিনের মাত্র দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বল। প্রথম ওভারে মুস্তাফিজও শুরু করেছেন দারুণ।
 
এই নিয়ে সিরিজে তিনবার থারাঙ্গাকে আউট করলেন মিরাজ। বাংলাদেশের শুরুটা এর চেয়ে ভালো আর হতে পারত না। শ্রীলঙ্কার রান ১ উইকেটে ৫৭। বাংলাদেশ এগিয়ে ৭২ রানে।

নতুন দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা
 
“শ্রীলঙ্কা যদি সাবধানী না হয়, টেস্ট শেষ হয়ে যেতে পারে আজকেই!” সকালে টেন ক্রিকেটের পিচ রিপোর্ট ঠিক এটি বলেই শুরু করলেন রাসেল আর্নল্ড। উইকেটে বেশ ‘রাফ’ আছে, স্পিনাররা সেটি কাজে লাগাতে পারলে কঠিন হবে ব্যাটসম্যানদের কাজ। আর্নল্ড বলছিলেন সেটিই।
 
শ্রীলঙ্কার শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছে। বড় লিড হজম করলেও আগের দিন তা অনেকটা কমিয়ে এনেছে উদ্বোধনী জুটি। ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাস বোলিংয়ের শুরুটায় বয়ে আনতে পারেনি বাংলাদেশ। নতুন দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।
 
চতুর্থ দিন বিনা উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে দিন শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ এগিয়ে ৭৫ রানে। 
 
তৃতীয় দিন শেষে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, শেষ ইনিংসে দুইশর বেশি রান তাড়া করতে চাইবে না বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে ধাক্কা দিতে তাই সকালে দ্রুত উইকেট জরুরি।