দুই দলের আরেকটি রোমাঞ্চকর ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। ভারতের গ্রেটার নয়ডায় ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুটিই জিতল আফগানরা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তিন ম্যাচই জয়ের পর প্রথম ওয়ানডে আফগানরা জিতেছিল ৩০ রানে।
আফগানিস্তানকে যথারীতি উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মোহাম্মদ শাহজাদ। ৪৩ বলে করেন ৬৩। তিনে নেমে রহমত শাহ ৭০ বলে ৬৮। আর আসগর স্তানিকজাই ৯০ বলে ১০১। আফগান অধিনায়কের এটি প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। চার-ছক্কা মেরেছেন সমান ৬টি করে।
৫০ ওভারে আফগানিস্তান তোলে ৩৩৮ রান; ওয়ানডেতে তাদের সর্বোচ্চ রান।
শেষ ওভারে তিনটিসহ স্টার্লিং নেন ৫৫ রানে ৬ উইকেট।
বিশাল রান তাড়ায় আইরিশদেরও ঝড়ো সূচনা এনে দেন স্টার্লিং ও এড জয়েস। ১৮ ওভারেই ১১৩ রানের জুটি গড়েন দুজন। ৫৫ রানে ফেরেন জয়েস।
৯ চার ও ৫ ছক্কায় স্টার্লিং করেন ৯৫। তাকে ফিরিয়েই রশিদ শুরু করেন শিকার। এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্তটি নিয়ে অবশ্য সংশয় ছিল যথেষ্টই।
আর ৫ রান করতে পারলেই ওয়ানডে ইতিহাসের মাত্র দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ৬ উইকেটের কীর্তি গড়তে পারতেন স্টার্লিং। যেটি পেরেছেন কেবল পল কলিংউড।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড করেছেন ৪৫। তাকেও ফেরান রশিদ। এই লেগ স্পিনারের বলেই পথ হারায় আইরিশরা। ১৫ বল বাকি থাকতে অলআউট হয় তারা ৩০৪ রানে।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪৩ রানে ৬ উইকেট নেন রশিদ খান। প্রথম ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এর আগে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টিতে ৫ ও ৩ উইকেট!