ক্যারিয়ারের চার ওয়ানডের সবকটিই শুভাগত খেলেছেন সেই ২০১১ সালে। গত আড়াই বছরে টেস্ট দলে বারবার সুযোগ দেওয়া নিয়েই আলোচনার খোরাক হয়েছেন শুভাগত। এখন টেস্ট দলে জায়গা হারিয়েছেন, কিন্তু আচমকাই জায়গা পেলেন ওয়ানডে দলে।
সদ্য সমাপ্ত ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির মৌসুমে দলে ফেরার মত চোখধাঁধানো কিছু করতে পারেননি শুভাগত। সবশেষ ঘরোয়া এক দিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উইকেট নেওয়ার তালিকায় ছিলেন ২১ নম্বরে, রান সংগ্রহে ৩৭তম। তারপরও দলে সুযোগ পেলেন এই অলরাউন্ডার।
দল ঘোষণার পরদিন মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয় কারণ ব্যাখ্যা করলেন মিনহাজুল। প্রধান নির্বাচক জানালেন, শ্রীলঙ্কা থেকে বার্তা পেয়েই শুভাগতকে রেখেছেন তারা।
“টিম ম্যানেজমেন্টের একটা চাহিদা থাকে। কোচ সবসময়ই বলেন আমাদের এ ধরনের ক্রিকেটার লাগবে। আমাদের এটা নিয়ে কাজ করতে হয়।”
“সবার মনে রাখা উচিত, আমরা তিনজন যে সিলেকশন প্যানেলে আছি, তার বাইরেও কিন্তু আরও দুজন আছে। টিম ম্যানেজমেন্টে কোচ হাথুরুসিংহে আছেন, ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন আছেন। পাঁচজন মিলে সিলেকশন প্যানেল। ওদের যে মেসেজ থাকে যে ওই ধরনের প্লেয়ার দরকার। আমাদের একটা প্ল্যান দেয়। এভাবেই আমাদের কাজ করতে হয়।”
প্রধান নির্বাচকের কথাতেই পরিষ্কার, কোচ ও ম্যানেজারের চাওয়াতেই দলে শুভাগত।
প্রশ্ন আছে নতুন মুখ সানজামুল ইসলামকে নিয়েও। ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই বড় দৈর্ঘ্যের উপযোগী ভাবা হয়েছে এ বাঁহাতি স্পিনারকে। হুট করেই ডাক পেলেন ওয়ানডেতে।
প্রধান নির্বাচক জানালেন, দলে নেওয়ার ভাবনা থেকেই সানজামুলকে তৈরি করা হচ্ছিলো আগে থেকেই।
“সানজামুল আমাদের এইচপি স্কোয়াডের প্লেয়ার। আমরা ওভাবেই ওকে ওয়ানডের জন্য নার্সিং করেছি। বিসিএলে খুব ভালো খেলেছে। এছাড়া গত প্রিমিয়ার লিগে যথেষ্ট ভালো করেছে। সব কিছু মিলিয়ে আমাদের পরিকল্পনা ছিল বাঁহাতি স্পিনার হবে এবং দরকার হলে ব্যাটিং করতে পারবে সে হিসেবে এইচপিতে ওকে আমরা তৈরি করেছি। আমরা যে টিমটা দাঁড় করিয়েছে ওয়ানডের জন্য এটাই সেরা টিম।”
সানজামুল প্রিমিয়ার লিগে ভালো করেছে বলে মিনহাজুল দাবি করলেও প্রিমিয়ার লিগে উইকেট শিকারির তালিকায় শুভাগতর সঙ্গে যৌথভাবে ২১ নম্বরে ছিলেন তিনি।