গল টেস্ট শেষ করেই রাতে কলম্বো পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। পি সারা ওভালে রোববার ছিল দলের ঐচ্ছিক অনুশীলন। পরের টেস্টের ভেন্যুতে দাঁড়িয়ে আগের টেস্টের ময়না তদন্ত করলেন বাংলাদেশ কোচ।
আরও অনেকবারের মত গল টেস্টেও বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে ব্যাটিং ব্যর্থতা। বাজে শট খেলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরাই সহজ করে দিয়েছেন লঙ্কান বোলারদের কাজ। যেমন, লাকশান সান্দাকানের লেগ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে প্রথম ইনিংসে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান, দ্বিতীয় ইনিংসে মুশফিকুর রহিম।
এই দুটি আউটেই হাথুরুসিংহে আড়াল করতে চাইলেন বাকি ব্যাটসম্যানদেরও। বললেন, বোলারের হাত থেকে বল পড়তে না পারাতেই বিপত্তি।
“উইকেট উপহার দিয়ে এসেছে, এই কথায় আমি একমত নই। কেউই উইকেট উপহার দেয়নি। ওই দুটি উইকেট ছিল পিচ থেকে স্পিন বোঝার চেষ্টার কারণে। বোলারের হাত থেকেই পড়তে পারলে, ভালো পজিশনও যাওয়া যায়।”
“ওই ছেলেটির (সান্দাকান) বোলিংয়ে ছিল অনেক বৈচিত্র, ‘রং আন’ ও চায়নাম্যান করছিল। আমার মতে, আমাদের ছেলেরা পিচ করার পর বল পড়ার চেষ্টা করেছে, তাতে করে সাড়া দেয়ার সময় পেয়েছে কম। লেগ স্টাম্পের বলে রান করতে চাওয়া ব্যাটসম্যানদের সহজাত প্রবৃ্ত্তি।”
দল বা ম্যাচের পরিস্থিতি যা-ই হোক, সহজাত ব্যাটিং করে যাওয়া নিয়ে গত কিছুদিনে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে তুমুল। সাকিব আল হাসান বারবারই বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতেই ব্যাট করে যাবেন নিজের মতো করে।
এই প্রসঙ্গে অবশ্য শক্ত অবস্থান পাওয়া গেল কোচের। জানালেন শট নির্বাচনে উন্নতি করার তাগিদ।
“রক্ষণাত্মক ও আক্রমণত্মক খেলার কথা যখন হচ্ছে, মূল ব্যাপারটি হলো সিদ্ধান্ত নেওয়া। এই জায়গাটিতে আমাদের উন্নতি করতে হবে, কোন বলে আক্রমণ করব, কোনটি ঠেকাব।”
“পথ যেটাই হোক, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে কন্ডিশন মাথায় রাখতে হবে, প্রতিপক্ষের পরিকল্পনা বুঝতে হবে ও সচেতনতা থাকতে হবে। গিয়ে আক্রমণাত্মক খেললাম আর বললাম যে এটিই আমার খেলা, এভাবে কেউ বলতে পারবে না।”
বার্তাটি পরিষ্কার। ব্যাটসম্যানরা কি পারবেন সেটি ধারণ করতে?