বাজে বোলিং-ফিল্ডিংয়ে বিশাল লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ

নিজেদের পরিকল্পনায় সফল শ্রীলঙ্কা। শতক করেছেন উপুল থারাঙ্গা, অর্ধশতক পেয়েছেন দিনেশ চান্দিমাল। চতুর্থ দিন ওভার প্রতি প্রায় চার করে রান সংগ্রহ করা দলটি বাংলাদেশকে দিয়েছে ৪৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্য। প্রতিপক্ষকে অলআউট করার জন্য প্রায় চার সেশন সময় পেয়েছে স্বাগতিকরা।

অনীক মিশকাতঅনীক মিশকাতগল থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 March 2017, 11:36 AM
Updated : 10 March 2017, 04:38 PM

জিততে রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

বৃষ্টিতে আগের দিন প্রায় এক সেশনের খেলা ভেসে যাওয়ায় শুক্রবার গল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে।

১৮২ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামা স্বাগতিকদের প্রথম সেশনে বেধে রাখে মুশফিকুর রহিমের দল। ৫ ওভারের স্পেলে মাত্র ১ রান দেন মুস্তাফিজুর রহমান, দারুণ বোলিং করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার বলে শুরুতেই দিমুথ করুনারত্নেকে জীবন দেন সাকিব আল হাসান।

শ্রীলঙ্কার ৬৯ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। ৭৩ বলে একটি চারে ৩২ রান ফিরেন করুনারত্নে।

লাঞ্চের আগে নিজেদের গুটিয়ে রাখা লঙ্কানরা চড়াও হয় দ্বিতীয় সেশনে। ওভার প্রতি ৫.১৬ করে ১৬০ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে চড়াও হওয়া থারাঙ্গা দেশের মাটিতে পান প্রথম টেস্ট শতক। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টে দ্বিতীয়বার তিন অঙ্ক ছোঁয়া এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ফিরেন ১১৫ রান করে। তার ১৭১ বলের দারুণ ইনিংসটি গড়া ১১টি চার ও দুটি ছক্কায়।

তার আগেই বিদায় প্রথম ইনিংসে ১৯৪ রান করা কুসল মেন্ডিস। সাকিবকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি ক্যাচ দেন তাসকিনকে।

১১ রানে ফিরতে পারতেন চান্দিমাল। মিরাজের বলে স্লিপে তার ক্যাচ ছাড়েন সৌম্য সরকার। শেষ পর্যন্ত ৭৫ বলে চারটি চারে চান্দিমাল অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে।

আসেলা গুনারত্নে এবার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সাকিবের দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে যান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি মেজাজে শুরু করা নিরোশান ডিকভেলা আবারও মিরাজের শিকার। অফ স্পিনারের বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লঙ্কান উইকেটরক্ষক লিটন দাসের দারুণ ক্যাচে পরিণত হন।

দিলরুয়ান পেরোর উইকেটও পেতে পারতেন মিরাজ। সীমানায় তার বলে ক্যাচ ছেড়ে ছক্কায় পরিণত করেন মাহমুদউল্লাহ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে চান্দিমালের সঙ্গে ৫২ রানের জুটি গড়েন অলরাউন্ডার পেরেরা।

লাঞ্চের পর পঞ্চম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজের কাটারে পেরেরা লিটনের গ্লাভসবন্দি হলে ৬ উইকেটে ২৭৪ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা।

মিরাজ ও সাকিব নেন দুটি করে উইকেট। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেই তিন অঙ্কের রান দিয়েছেন আইসিসি টেস্ট র্যা ঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই অলরাউন্ডার।

বোলিং ব্যর্থতায় ভীষণ কঠিন পরীক্ষার সামনে বাংলাদেশ। টেস্টে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। চতুর্থ ইনিংসে তাদের সর্বোচ্চ ৪১৩ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই।

গলে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ পাকিস্তানের ৩০০। সর্বোচ্চ ১১৪ ওভার খেলেছে তারাই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৪৯৪

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩১২

শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬৯ ওভারে ২৭৪/৬ ইনিংস ঘোষণা (করুনারত্নে ৩২, থারাঙ্গা ১১৫, মেন্ডিস ১৯, চান্দিমাল ৫০*, গুনারত্নে ০, ডিকভেলা ১৫, পেরেরা ৩৩; শুভাশীষ ০/৩৪, মিরাজ ২/৭৭, মুস্তাফিজ ১/২৪, সাকিব ২/১০৪, তাসকিন ১/৩২)