বড় স্কোরের আশায় দিন শুরু করা প্রোটিয়াদের থামিয়েছেন বোল্ট। দিনের শেষে কিউইদের বড় স্কোরের আশা হয়ে টিকে উইলিয়ামসন।
ডানেডিন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে অল আউট হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। নিউ জিল্যান্ড দিন শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১৭৭ রানে।
৪ উইকেটে ২২৯ রানে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল প্রোটিয়ারা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ডিন এলগার ও টেম্বা বাভুমা দলকে পার করান আড়াইশ। এরপরই ধস। ৫৬ রানে হারিয়েছে তারা শেষ ৬ উইকেট।
নিউ জিল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরানো মূল নায়ক বোল্ট। তবে শুরু নিল ওয়াগনারের হাত ধরে। দারুণ এক শর্ট বলে ফেরান এলগারকে আগে দিনের ১২৮ রানের সঙ্গে বাঁহাতি ওপেনার যোগ করেছেন আর ১২ রান।
বিপজ্জন কুইন্টন ডি কককে ফেরান অফ স্পিনার জিতান প্যাটেল। এরপরই দৃশ্যপটে বোল্ট। লড়তে থাকা বাভুমাকে ফেরানোর পর একই স্পেলে নেন আরও দুই উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ তিনশ’ পেরিয়েই।
নিউ জিল্যান্ডের শুরুটা হয় টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে। তবে দ্বিতীয় উইকেটেই ১০২ রানের জুটি গড়েন জিত রাভাল ও উইলিয়ামসন।
রাভাল আরও একবার আউট হয়েছেন পঞ্চাশ পেরিয়েই। পাঁচ টেস্টে তিনটি করেছেন অর্ধশতক, কিন্তু সর্বোচ্চ ৫৫!
রাভালের পর শেষ বিকেলে হেনরি নিকোলসকে ফেরান বাঁহাতি স্পিনার কেশভ মহারাজ। মাঝে উইলিয়ামসন খেলে গেছেন নিজের মত। দৃষ্টিনন্দন সব শটে ১১ চারে ৭৮ রানে অপরাজিত কিউই অধিনায়ক।
কিউইদের দুশ্চিন্তা একটিই। উইকেটে নেমেও কাফ মাসলের চোটে মাঠ ছেড়েছন রস টেইলর। তার ব্যাট করা নিয়ে শঙ্কা আছে যথেষ্টই। সেক্ষেত্রে উইলিয়মসনই ভরসা!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ১২২.৪ ওভারে ৩০৮ (আগের দিন ২২৯/৪) (এলগার ১৪০, বাভুমা ৬৪, ডি কক ১০, ফিল্যান্ডার ২১, মহারাজ ৫, রাবাদা ৪, মর্কেল ০*; বোল্ট ৪/৬৪, ওয়াগ নার ৩/৮৮, প্যাটেল ২/৮৫, স্যান্টনার ০/৩২, নিশাম ১/৩৪)।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৫ ওভারে ১৭৭/৩ (ল্যাথাম ১০, রাভাল ৫২, উইলিয়ামসন ৭৮*, টেইলর (আহত অবসর) ৮, নিকোলস ১২, প্যাটেল ৯*; রাবাদা ০/৪৬, ফিল্যান্ডার ১/৩৭, মর্কেল ০/২৬, মহারাজ ২/৫৭, দুমিনি ০/৫)।