ডানেডিন টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে পুরো ওভার। দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ২২৮। গত ১০ বছরে নিউ জিল্যান্ডে প্রথম দিনে এত কম রান রেট ছিল আর কোনো দলের। তার পরও দিনটি দক্ষিণ আফ্রিকার, উইকেট যে হারিয়েছে তারা মাত্র ৪টি!
শুরুর বিপর্যয়ের পর এই স্কোর তো সফরকারীদের দারুণ তৃপ্তিদায়ক। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২২ রানেই দক্ষিণ আফ্রিকা হারিয়েছিল ৩ উইকেট। কিন্তু সারাদিন ব্যাট করে ১২৮ রানে অপরাজিত ওপেনার এলগার। নিজের সিদ্ধান্তের চ্যাঞ্জেটা নিতে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন দু প্লেসিও।
উইকেট বেশ মন্থর, বাউন্স প্রায়ই অসমান। আগের তিন টেস্টের দুটিতেই ম্যাচ সেরা টিম সাউদিকে বাদ দিয়ে নিউ জিল্যান্ড একাদশে নেয় বাড়তি স্পিনার। তবে দুই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ও জিতান প্যাটেল সারাদিনে পাননি উইকেট। চার উইকেটই নিয়েছেন পেসাররা।
স্টিভেন কুককে ফিরিয়ে শুরু করেছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। নিল ওয়াগনার এক ওভারেই ফেরান হাশিম আমলা ও জেপি দুমিনিকে। সেখান থেকে এলগার ও দু প্লেসির লড়াই।
এলগার অবশ্য জীবন পান একবার। ৩৬ রনে বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে লেগ সাইডে তার ক্যাচ নিতে পারেননি বিজে ওয়াটলিং। আর সুযোগ দেননি সারাদিনে। দু প্লেসির সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে জুটি ১২৬ রানের।
৪০ ওভার টিকে যাওয়া জুটি ভাঙেন জিমি নিশাম। শর্ট বলে ৫২ রান করে ফেরেন দু প্লেসি।
এরপরও ম্যাচে ফিরতে পারেনি কিউইরা। বাজে ফর্মে থাকা টেম্বা বাভুমাকে পারেনি দ্রুত ফেরাতে। এলগার ও বাভুমা গড়েছেন ৮১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
১৯৭ বলে এলগার ছুঁয়েছেন সেঞ্চুরি। সাতটি সেঞ্চুরি করে ফেললেন ৩২ টেস্টে। দিনশেষে অপরাজিত ২৬২ বলে ১২৮ রানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২২৯/৪ (কুক ৩, এলগার ১২৮*, আমলা ১, দুমিনি ১, দু প্লেসি ৫২, বাভুমা ৩৮*; বোল্ট ১/৪৪, ওয়াগনার ২/৫৯, প্যাটেল ০/৬০, স্যান্টনার ০/৩২, নিশাম ১/২৯)।