গল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার প্রথম দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩২১ রান। মেন্ডিস অপরাজিত ১৬৬ রানে। গত জুলাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলা ১৭৬ রান তার সর্বোচ্চ।
সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মেন্ডিস দ্বিশতকের জন্য তার অধীর থাকার কথা জানান।
“আমি দ্বিশতকের জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। পাল্লেকেলেতে সুযোগ হাতছাড়া করেছিলাম। এখানে আমি একজন থিতু ব্যাটসম্যান আর দল আমার কাছ থেকে বড় রান আশা করে। যদি আরও বেশি নাও করতে পারি অন্তত দুইশ’ পর্যন্ত যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টাই করবো।”
খেলেছেন পরিণত এক ইনিংস। ক্রিকেট মস্তিষ্ক তার দারুণ পরিণত। ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে এসেই শুভাশীষ রায় চৌধুরীর বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন লিটন দাসকে। ‘নো’ বলের কল্যাণে শূন্য রানে বেঁচে যাওয়ার পর খেলে চলেছেন দৃঢ়তাভরা এক ইনিংস।
“প্রথম বলে আমি বাজে শট খেলেছিলাম। আমি সহজাত শটই খেলেছিলাম। ওই শট খেলার পর সৌভাগ্যবশত আমি দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছি। আমি সুযোগ কাজে লাগিয়েছি, আমার কাছে দল যা চায় তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।”
“ক্যাচ দেওয়ার পর দিমুথ (করুনারত্নে) এসে আমাকে বলেছিল, বল ছাড়ার জন্য। আমি ওর পরামর্শ শুনেছিলাম। ব্যাটিংয়ে যেই এসেছে আমার সাথে কথা বলেছে। ওরা যখন কোনো পরামর্শ দিয়েছে আমি শুনেছি। টপঅর্ডারের একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে থিতু হওয়ার পর দলকে এগিয়ে নেওয়া আমার দায়িত্ব।”
বাংলাদেশ তিন পেসারসহ খেলছে পাঁচ বোলার নিয়ে। শ্রীলঙ্কা তিন স্পিনারসহ খেলছে পাঁচ বোলার নিয়ে। গলের উইকেটে বাড়তি বোলার না খেলানোর কোনো কারণ দেখেন না মেন্ডিস।
“এই উইকেটে ব্যাটিং সহজ। তাই দলে একজন বাড়তি বোলার খেলানো জরুরি। প্রতিপক্ষের যদি দুই জন ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে যায় তাহলে বোলাররা খুব একটা চাপ তৈরি করতে পারে না। বাড়তি বোলার খেলানো এখানে কোনো ইস্যু না।”
বড় সংগ্রহের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে শ্রীলঙ্কা। মেন্ডিসের বিশ্বাস, ব্যাটসম্যানরা বড় ভুল না করলে গল টেস্টে বড় স্কোরই দেখা যাবে।