বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে দ্বিশতক করা মুশফিক থেমেছিলেন ২০০ রানে। ১৯০ রানের চৎকার এক ইনিংস খেলেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি ছিল তার পঞ্চম শতক। টেস্টে নিজের একমাত্র শতকটি সেই ম্যাচেই পেয়েছিলেন নাসির হোসেন।
অনেক পাওয়ার সেই ম্যাচে চোটের জন্য খেলেননি তামিম ইকবাল। অস্ত্রোপচারের জন্য পুরো সিরিজেই অনুপস্থিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। দলের সেরা দুই তারকার উপস্থিতিতে এবার আত্মবিশ্বাস এবার আরও বেশি।
গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার মুশফিক সংবাদ সম্মেলন করার খানিক আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক রঙ্গনা হেরাথ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই স্পিনার সেই ম্যাচের অনেক কিছুই মনে করতে পারলেন।
“মুশফিক দুইশ’ রান করেছিল। আশরাফুল ১৯০ রান করেছিল। নাসির পরে শতক করেছিল। আমরা ৫৭০ রান করার পর ওরা ৬৩৮ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল। পরে আমরা কলম্বোয় ওদের হারিয়ে সিরিজ জিতেছিলাম।”
হেরাথ কলম্বোর কাজটা এগিয়ে আনতে চান গলে। বাংলাদেশের অধিনায়ক চান আগেরবারের চেয়ে আরেক ধাপ এগোতে। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তা না হওয়ার কোনো কারণও দেখেন না তিনি।
“যে কোনো অর্জনের অনুভূতিই দারুণ। ব্যক্তিগত আর দলীয়ভাবে এই অনুভূতি অসাধারণ। তবে শ্রীলঙ্কার এই দলটি নতুন। হেরাথ ছাড়া ওদের পুরো বোলিং অ্যাটাকই নতুন। ওদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে আমাদের নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে। তার দিকেই আমাদের পূর্ণ মনোযোগ। শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে। আশা করি শুরুটা ভালো করতে পারবো।”
“অতীত যদি ভালো থাকে অবশ্যই সেটা অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। এটা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী করবে যে আমরা এ উইকেটে, এ দলের বিপক্ষে আমরা ভালো খেলেছিলাম। এটা মানসিকভাবে অনেক সহায়তা করবে।”
সেবার শ্রীলঙ্কা দলে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। এবার তাদের অনুপস্থিতিতে দলের সম্ভাবনা আরও বেশি দেখেন মুশফিক।
“সাঙ্গাকারা, ম্যাথিউস থাকার পরও আমরা যে দলগত সাফল্য পেয়েছিলাম তা সত্যিই ভালো দিক। এই ব্যাপারটা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করবে। তবে এবার এখানে নতুন করে শুরু করতে হবে। আশার কথা, এবার তো সাকিব-তামিমও আছে।”
শ্রীলঙ্কায় খেলা ১০ টেস্টের নয়টি ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি তারা। তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তি এড়াতে হলে নিজেদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে মুশফিকদের।