রানের তীব্র স্রোত ছিল না, দেখা যায়নি উইকেট-প্রপাত। তার পরও দিনটি ছিল রোমাঞ্চ আর উত্তেজনায় ঠাসা। কথার লড়াই আর ব্যাট-বলের জমজমাট লড়াইয়ের একটি দিন শেষে বেঙ্গালুরু টেস্টে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতের চেয়ে ৪৮ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের ১৮৯ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে সফরকারীদের রান ৬ উইকেটে ২৩৭।
সেই পরীক্ষায় অস্ট্রেলিয়া এর মধ্যেই পেয়ে গেছে পাশ মার্ক। ম্যাট রেনশ ও শন মার্শের ব্যাট এগিয়ে নিয়েছেন দলকে।
ডেভিড ওয়ার্নার ও রেনশর জুটি আরও একবার অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেয় অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি। নিজের সহজাত ব্যাটিং ছেড়ে উইকেট আঁকড়ে রাখার পথ বেছে নিয়েছিলেন ওয়ার্নার। তার চেষ্টা শেষ হয় রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অসাধারণ এক ডেলিভারিতে। লেগ স্টাম্পের বাইরে পড়ে বল উপড়ে দেয় অফ স্টাম্প।
দূরুহ উইকেটে আরও একবার দারুণ টেকনিকের প্রমাণ রেখেছেন স্টিভেন স্মিথ। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি। আগের টেস্টের নায়ককে এবার ফিরিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা।
তবে তরুণ রেনশকে এবারও দ্রুত ফেরাতে পারেনি ভারত। প্রথমবার ভারত সফরে আসা ২০ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান মুগ্ধতা ছড়িয়েই যাচ্ছেন। টেকনিক, টেম্পারামেন্ট দিয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, ভবিষ্যত তো বটেই, এখনই তিনি অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের সম্পদ।
স্পিন ভালো খেলেন ভাবনায় এই সিরিজে যাকে নেওয়া, সেই শন মার্শও জমে যান উইকেটে। তৃতীয় উইকেটে ৫২ রানের জুটিতে দলকে এগিয়ে নেন দুজন।
জদেজা পরে ফেরান হ্যান্ডকমকে। ইশান্ত শর্মার নীচু হওয়া বল রানের খাতা খুলতে দেয়নি মিচেল মার্শকে। কিন্তু বড় ভাই শন মার্শের ব্যাটে ঠিকই লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। ১৯৭ বলে ৬৬ করে ফেরেন বড় মার্শ।
শেষ বিকেলে লিড আরেকটু বাড়ান ম্যাথু ওয়েড ও মিচেল স্টার্ক। ৪৮ রানের লিড এমনিতে খুব বড় নয়। তবে এই ম্যাচের প্রেক্ষাপটে অনেক। সেই লিড ১০০ পর্যন্ত গেলে ম্যাচ জয়ের পথেও অনেকটা এগিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: ১৮৯
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১০৬ ওভারে ২৩৭/৬ (ওয়ার্নার ৩৩, রেনশ ৬০, স্মিথ ৮, শন মার্শ ৬৬, হ্যান্ডসকম ১৬, মিচেল মার্শ ০, ওয়েড ২৫*, স্টার্ক ১৬*; ইশান্ত ১/৩৯, উমেশ ১/৫৭, অশ্বিন ১/৭৫, জাদেজা ৩/৪৯, করুন ০/৭)।