মৌসুমে এটি তুষারের রেকর্ড ছোঁয়া পঞ্চম সেঞ্চুরি। তবে দিনের নায়ক তুষার একাই নন। দ্বাদশ ম্যাচে এসে মৌসুমের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। ২১৩ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত দুজনই।
বিসিএলের ষষ্ঠ ও শেষ রাউন্ডের প্রথম দিনে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে ২ উইকেটে ৩২৫ রান তুলেছে দক্ষিণাঞ্চল।
শিরোপা জিতলে হলে এই ম্যাচ থেকে পুরো ৭ পয়েন্ট জিততে হবে দক্ষিণাঞ্চলকে। পাশাপাশি অন্য ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের কোনো পয়েন্ট পাওয়া চলবে না। অন্তত নিজেদের কাজটা এগিয়ে রাখছে দক্ষিণাঞ্চল।
বিকেএসপিতে তুষার-মিঠুনদের ভিত্তি গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। ইমরুল কায়েস ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ৮৮ রান। লাঞ্চের আগে ও পরে বিদায় নিয়েছেন দুজন।
আগের রাউন্ডের সেঞ্চুরিতেই শ্রীলঙ্কার টিকেট পেয়ে গেছেন ইমরুল। ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট হওয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাকে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন নির্বাচকরা। সুখবর জেনে ম্যাচে নেমে এবার ইমরুল করেছেন ৫৭। উইকেটে ছিলেন আড়াই ঘণ্টা।
দিনের বাকিটায় শুধুই মিঠুন আর তুষার। দুজনের জুটিতে সারাদিনে পড়েনি আর কোনে উইকেট।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুষারের এটি ২৩তম সেঞ্চুরি। চলতি মৌসুমে পঞ্চম। স্পর্শ করেছেন মৌসুমে পাঁচ সেঞ্চুরির লিটন ও শামসুরের রেকর্ড।
তিনে নামা মিঠুন সেঞ্চুরি পেয়ে গেছেন এর বেশ আগেই। তুষারের তুলনায় একটু বেশি আক্রমণাত্মকও ছিলেন মিঠুন। ১৪৯ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক।
দিন শেষে ১৭৯ বলে ১২৭ রানে অপরাজিত মিঠুন। ১৩ চারের পাশে ছক্কা তিনটি। ১৬১ বলে ১০১ রানে অপরাজিত তুষার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩২৫/২ (ইমরুল ৫৭, ফজলে রাব্বি ৩৯, মিঠুন ১২৭*, তুষার ১০১*; শরীফ ০/৩১, আবু হায়দার ০/৬৬, শুভাগত ১/৯৪, মোশাররফ ১/৯১, তাইবুর ০/২৮, তানবির ০/২৮)।