বোলিংয়ে অস্বস্তি নেই মাশরাফির

কিট ব্যাগটা খুলে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ভেতর থেকে বুট বের করতে করতে বললেন, “কতদিন পর ব্যাগটা খুললাম”। বাক্স খুলে বের করলেন একটা চকচকে কুকাবুরা। নতুন বলও হাতে নিলেন অনেক দিন পর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2017, 11:10 AM
Updated : 5 March 2017, 11:49 AM

ক্যারিয়ারে আরও একবার চলছে মাশরাফির মাঠে ফেরার লড়াই। সেই লড়াই জয়ের পথে বড় একটা পদক্ষেপ নিলেন রোববার। গত কয়েক দিনে শর্ট রান আপে টুকটাক হাত ঘুরিয়েছেন। তবে পুরো রান আপে বোলিং শুরু করলেন এদিন।

দুপুরে মিরপুর একাডেমি মাঠে চার ওভার বোলিং করেছেন মাশরাফি। বল গ্রিপ করা বা রিলিজে অস্বস্তি নেই। তবে জানালেন, পুরো রান আপে বোলিং শুরু করলেও ‘পুরো দমে’ করতে পারেননি।

“মূল যে সমস্যা ছিল, সেটি নেই। কদিন আগেও অবস্থা যে রকম ছিল, ভেবেছিলাম আরও সময় লাগবে। কিন্তু দ্রুতই সেরে গেছে। বল করতে পারছি ঠিকঠাক। ব্যথা আছে একটু, সেটুকু থাকবেই। ওই ব্যথা নিয়েই খেলতে হবে। সমস্যা মনে হলো একটু ফিটনেসে।”

“তিন ওভার বোলিং ভালোভাবেই করেছি। চতুর্থ ওভারে মনে হলো একটু জোর করতে হচ্ছে নিজের ওপর। ক্লান্তিও লাগছে। তার মানে ফিটনেস নিয়ে আরেকটু বেশি খাটতে হবে, রানিংয়ে জোর আরও বাড়াতে হবে। সমস্যা নেই, সেসব কয়েক দিনেই হয়ে যাবে।”

 

নিউ জিল্যান্ড সফরে গত ৮ জানুয়ারি তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মাশরাফি। মাউন্ট মঙ্গানুইতে নিজের বলেই কোরি অ্যান্ডারসনের ড্রাইভ ফেরাতে গিয়ে বল লাগে ডান হাতের বুড়ো আঙুলে। পরে এক্স রেতে দেখা যায়, আঙুল ভেঙে প্রায় দু ভাগ হয়ে গেছে।

কদিন আগের একটি স্ক্যানের ছবি ফোনে দেখালেন মাশরাফি। প্রায় দু ভাগ হয়ে যাওয়া হাড় এখনও জোড়া লাগেনি পুরোপুরি। তবে সেটা নাকি এরকমই থাকবে।

“এটা পুরোপুরি জোড়া লাগবে না এখনই। একটু বাঁকা হয়ে সরে গেছে। আস্তে আস্তে অনেকটা সময় নিয়ে জোড়া লাগতে পারে…” বলতে বলতে এমন ভাবে হাসছিলেন, যেন ভাঙা আঙুল নিয়ে ঘোরার মত মজার কিছু আর নেই!

জাতীয় দল শ্রীলঙ্কা যাওয়ার আগে শেষ দিনের অনুশীলনে ফিজিও ডিন কনওয়ে বলেছিলেন, শুরুতে কিছুদিন আঙুলে টেপ পেঁচিয়ে বোলিং করতে। তবে খুব বেশি অস্বস্তি না হওয়ায় আর সে ঝামেলায় যাননি মাশরাফি। টেপ ছাড়াই করছেন বোলিং।

ফিটনেসে ঘাটতি যেটুকু আছে, মাশরাফির বিশ্বাস, বিসিবির ট্রেনারের সঙ্গে কাজ করে সেটায় কয়েক দিনেই উন্নতি করতে পারবেন।

“মাঠের বাইরে থাকলেও খাওয়াটা কন্ট্রোল করেছি বলে ওজন বেশি বাড়েনি। মাত্র দুই কেজি বেড়েছে, এটা কয়েক দিনেই কমিয়ে ফেলব। এমনিতে জিম-রানিং করছি। তবে নিজে করা আর ট্রেনারের সঙ্গে করার পার্থক্য আছে। এখন ট্রেনারের সঙ্গে কাজ শুরু করলে আশা করি কয়েক দিনেই পুরো ফিট হয়ে উঠব।”

আপাতত এক দিন বোলিং, একদিন জিম, এভাবেই চলবে মাশরাফির রুটিন। উন্নতি হওয়ার সঙ্গে বাড়াবেন ‘লোড’।

টেস্ট দলের বাইরে ওয়ানডে দলে থাকা ক্রিকেটারদের শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার কথা ১৮ মার্চ। ২২ মার্চ প্রস্তুতি ম্যাচ, প্রথম ওয়ানডে ২৫ মার্চ। হাতে সময় এখন প্রায় তিন সপ্তাহ। আশা করা যায়, ডাম্বুলায় প্রথম ওয়ানডেতে টস করতে নামবেন পুরো ফিট মাশরাফিই।