ব্যাটিং-ফিল্ডিং নিয়ে খুশি হাথুরুসিংহে

প্রস্তুতি ম্যাচে যা চেয়েছে বাংলাদেশ তার অনেকটাই পেয়েছে। উইকেটে লম্বা সময় কাটিয়েছেন টপঅর্ডার ব্যাটসম্যাদের দুই জন। শেষটায় লড়াই করেছেন লিটন দাস। ফিল্ডিংয়ে হয়নি তেমন কোনো বড় ভুল।

ক্রীড়া প্রতিবেদক মোরাটুয়া থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 March 2017, 04:04 PM
Updated : 3 March 2017, 05:00 PM

ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎ আউট হয়ে যাওয়া তামিম পেয়েছেন শতকের দেখা। যখন যেভাবে চেয়েছেন খেলতে পেরেছেন। কোনো বোলার তাকে খুব একটা পরীক্ষায় ফেলতে পারেন। ১৩৬ রানের ইনিংসে কোনো সুযোগও দেননি এই বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

তার আগেই বোলারদের শাসন করার পথটা দেখিয়েছেন মুমিনুল হক। চার বছর আগে শ্রীলঙ্কা সফর দিয়েই টেস্টে নিজের জায়গা পাকা করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৭৩ রানের দাপুটে এক ইনিংস। উইকেটের চারপাশে শট খেলেছেন। স্পিন-পেস কোনো কিছুই তাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারেনি। স্পিনে তার ফুটওয়ার্কও ছিল দুর্দান্ত। শেষে মাঠ ছেড়েছেন স্বেচ্ছায়। 

থিতু হয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেন মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ। দুই হাতে কাজে লাগিয়েছেন লিটন দাস। কিপিংয়ে তার চেয়ে খানিকটা এগিয়ে থাকা নুরুল হাসান থাকলেও কেন তাকে দলে নেওয়া হয়েছে সেটার প্রমাণ ব্যাট হাতেই দিয়েছেন এই তরুণ। কিপিংয়েও ছিলেন দারুণ। কাজে লাগিয়েছেন দুটি কঠিন সুযোগ। 

ডি সয়সা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় শেষ দিনের খেলা শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান।

“তামিম খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। খুব ভালো একটি ইনিংস খেলেছে ও। শুধু তামিম না মিনিও (মুমিনুল) খুব ভালো করেছে। শুরুতে থেকে দারুণ ব্যাটিং করেছে। পরে লিটন খুব ভালো করেছে। ব্যাটিংয়ে ওদের পারফরম্যান্সে আমি খুশি।” 

টানা চার সিরিজ ধরে ফিল্ডিং ভুগিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। দেশের মাটিতে আফগানিস্তন ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফিল্ডিংয়ে ভালো করেনি হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। নিউ জিল্যান্ডে তো ছিল আরও বাজে। সেখানে অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়ার পর ভারতেও ছিল না উন্নতির আভাস।

ফিল্ডিং নিয়ে কাজ অবশ্য থেমে নেই। অনুশীলনে ক্যাচ ধরার কাজ মনোযোগ দিয়ে করে গেলেন মমিনুল, লিটন, সৌম্য সরকাররা। মাঠেই দেখা গেল তার প্রতিফলন।

কোনো সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। প্রথম স্লিপের ঠিক সামনে পড়ে যেত এমন ক্যাচ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে নিয়েছেন লিটন। পরে বিদ্যুৎ গতিতে কাজে লাগিয়েছেন স্টাম্পিংয়ের সুযোগ। আকাশে উঠে যাওয়া ক্যাচ ধরেছেন মিডঅনে থাকা মুশফিক, কঠিন ফিরতি ক্যাচ জমিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

“ছোটোখাটো কিছু ভুলত্রুটি ছাড়া ফিল্ডিং নিয়ে আমি খুশি। এখানটা উন্নতির জন্য আমরা সব সময়ই পরিশ্রম করছি।”  

এভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে শ্রীলঙ্কায় এবার টেস্টে অন্য চেহারায় দেখা যেতে পারে বাংলাদেশ দলকে।