মুরালিধরনের জমানায় কখনও ছিলেন ছায়া হয়ে, কখনও আড়ালে। মুরালি-উত্তর যুগে তিনিই শ্রীলঙ্কার ব্রহ্মাস্ত্র। গত কয়েক বছরে বারবার নিজেকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও তার দিকে তাকিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা।
শ্রীলঙ্কায় সবশেষ সফরে (২০১৩) গলে দারুণ খেলে ড্র করেছিল বাংলাদেশ। পরের টেস্টে দুই ইনিংসে ১২ উইকেট নিয়ে লঙ্কানদের জিতিয়েছিলেন হেরাথ। এবারের সিরিজেও বাংলাদেশের রণ পরিকল্পনার বড় অংশ জুড়ে থাকছে হেরাথকে সামলানো।
শ্রীলঙ্কা যাত্রার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকুর রহিম জানালেন, হেরাথকে যত কম সম্ভব উইকেট দিতে চায় বাংলাদেশ।
“আমি এবং আমাদের দলের যারা আগে তার বিপক্ষে খেলেছে, সবার মোটামুটি জানা আছে, তার বিরুদ্ধে কিভাবে খেলতে হবে। আমরা তাকে খুব বেশি উইকেট না দেওয়ার চেষ্টা করবো। সে যদি বেশি উইকেট না পায়, তাহলে স্কোরবোর্ডে আমরা অনেক বেশি রান জমা করতে পারব।”
বোলিং আক্রমণের নেতা তো বটেই, চোটের কারণে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস না থাকায় শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্বও দেবেন হয়ত হেরাথই। গত অক্টোবর-নভেম্বরে ম্যাথিউসের অনুপস্থিতিতে জিম্বাবুয়েতে অধিনায়ক হিসেবে ২ টেস্টে নিয়েছেন ১৯ উইকেট। শ্রীলঙ্কার অনভিজ্ঞ দলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবেন তিনিই।
মুশফিক যেমন বলেছেন, হেরাথকে সামলাতে পারলেই বাংলাদেশ গড়তে পারবে বড় স্কোর!