উইকেট বেশ চ্যালেঞ্জিং। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া। বোলিং বা ব্যাটিং ভালো করলে সুযোগ দুই পক্ষের জন্যই। ফিটনেসের সংশয়ে শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে জায়গা না পাওয়া ইমরুল রান পেয়েছেন ভালো ব্যাট করেই। এতটাই ভালো যে শুধু সেঞ্চুরি নয়, দলের প্রায় অর্ধেক রান করেছেন একাই!
বিসিএলের পঞ্চম রাউন্ডে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে ২৯৬ রানে অলআউট হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল। ইমরুল করেছেন ১৩৬। প্রায় ৫ ঘণ্টা কাটিয়েছেন উইকেটে। হয়ত ফিটনেসের একটি প্রমাণ।
বিসিএলের এই রাউন্ডের ভেন্যু পরিবর্তন হয়েছে আচমকাই। উইকেট প্রস্তুতের জন্য কিউরেটর সময় পেয়েছেন মোটে চারদিন। তার পরও মাঠকর্মীরা তৈরি করতে পেরেছেন স্পোর্টিং উইকেট। সুযোগ ছিল সবারই। সেটির প্রতিফলন স্কোরেও। ইমরুল যেমন সেঞ্চুরি করেছেন। তেমনি ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও বাঁহাতি স্পিনার সাকলাইন সজিব।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা দক্ষিণাঞ্চল ওপেনার ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে হারায় শুরুতেই। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হককে নিয়ে ইমরুল গড়েন ৮৪ রানের জুটি। ৭৩ বলে ৫৮ করে এনামুল বোল্ড হয়েছেন সাকলাইনের বলে।
ইমরুলের ব্যাটে ছিল যেন ওয়ানডের গতি। শুরুর দিকে অবশ্য কিছু রান পেয়েছেন উইকেটের পেছনে। তবে ক্রমেই খেলতে থাকেন চার পাশে।
এনামুলের সঙ্গে জুটি ভাঙার পর এক পাশে উইকেট পড়েছে নিয়মিত। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তুষার ইমরান এবার রান পাননি। সুবিধে করতে পারেননি শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ মিঠুনরা। আরেক পাশে রান করে গেছেন ইমরুল।
১৭৭ বলে ইমরুল স্পর্শ করেন তিন অঙ্ক। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার পঞ্চদশ সেঞ্চুরি।
শেষ বিকেলে ৮ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে পূর্বাঞ্চল তুলেছে ৪ রান। মেডেন ৬ ওভারই, তবে হারাতে হয়নি উইকেট।
হার মানছেন না ইমরুলও। জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে বেশ কবারই আবার ফিরে এসেছেন চ্যালেঞ্জ জিতে। এবারও চালিয়ে যাচ্ছেন লড়াই। শ্রীলঙ্কা সফরের দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক বলেছিলেন, ফিটনেস প্রমাণ করতে পারলে দ্বিতীয় টেস্টের আগে পাঠানো হবে ইমরুলকে।
ইমরুল কিন্তু প্রমাণ দিয়েই চলেছেন!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮০ ওভারে ২৯৬ (এনামুল ৫৮, ফজলে রাব্বি ৭, ইমরুল ১৩৬, তুষার ১, শাহরিয়ার ১৪, মিঠুন ৬, জিয়াউর ২১, নাহিদুল ৭, রাজ্জাক ৪, নাজমুল ২৩*, আল আমিন ১২; আবুল হাসান ০/৪৮, নাঈম ১/৮৫, আফিফ ১/৩৮, সাইফুদ্দিন ৩/৭০, সাকলাইন ৩/১৭, রাহাতুল ১/১৭, অলক ১/১৮)।
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৮ ওভারে ৪/০ (ইমতিয়াজ ৪*, আফিফ ০*; আল আমিন ০/২, রাজ্জাক ০/০, নাহিদুল ০/২)।