বাংলাদেশের বিপক্ষে অবশ্য দিনেশ চান্দিমালের রেকর্ড দারুণ। তবে তিনি ফর্মে নেই। অভিজ্ঞ উপুল থারাঙ্গা আছেন, ক্যারিয়ার জুড়ে টেস্ট দলে পাকা করতে পারেননি জায়গা। বাংলাদেশের হুমকি বলতে কেবল রঙ্গনা হেরাথ। সম্ভব সবচেয়ে আদর্শ সময়েই শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন মুশফিকরা।
‘সেরা’ সুযোগ অবশ্য বলছেন না মুশফিকুর রহিম। তবে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে উড়াল দেওয়ার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এটুকু মেনে নিলেন যে এটা বড় সুযোগ।
“সুযোগ তো অবশ্যই। ওদের দলে অনেক দিন ধরে ভালো খেলেছেন, এমন কয়েকজন নেই। নিয়মিত অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসও নেই। তারপরও ভুললে চলবে না যে, তাদের দেশেই খেলা। তারা যদিও চাপে থাকবে, কারণ তারাও জানে যে, বাংলাদেশ অনেক দিন ধরেই ভালো ক্রিকেট খেলছে। সব দিক বিবেচনা করে বলবো যে, অবশ্যই সুযোগ আছে।”
শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশের আরেকটি বড় ভরসার জায়গা, কোচিং স্টাফের অনেকেই শ্রীলঙ্কান- প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহে, ব্যাটিং কোচ থিলান সামারাবিরা, ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়ন। এই সিরিজে তাদের কাছ থেকে অনেক বেশি পাওয়া যাওয়ারই কথা।
মুশফিক অবশ্য টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের বাস্তবতাও মনে করিয়ে দিতে চাইলেন।
“আমাদের কোচিং স্টাফদের মাধ্যমে কিছু তথ্য আমরা সংগ্রহ করতে পেরেছি। এখন সবকিছু নির্ভর করছে, আমরা কতটা সেরা ক্রিকেট খেলতে পারবো, সেটার উপর। আমাদের সামর্থ্য আছে, তবে মাঠে তা প্রয়োগ করতে হবে। নিজেদের নিয়েই বেশি চিন্তা করছি। যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জেতার ক্ষমতা আমাদের আছে।”
সামর্থ্য মাঠে প্রয়োগ করতে না পারলে তো সেটির মূল্য নেই! প্রতিপক্ষ খুব ভালো অবস্থায় নেই বলেই নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর সুযোগ বেশি। সেটিই এবার করে দেখানোর পালা।