ডি ভিলিয়ার্স আর ৪ পেসারে উড়ে গেল নিউ জিল্যান্ড

কুইন্টন ডি ককের রেকর্ড গড়া টানা পঞ্চম অর্ধশতক। রেকর্ড গড়া ৯ হাজারে আরও এগিয়ে এবি ডি ভিলিয়ার্স। চার পেসারে কিউই ব্যাটিং গুঁড়িয়ে যাওয়া। সবকিছুর যোগফল, দক্ষিণ আফ্রিকার বিশাল জয়।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 11:36 AM
Updated : 25 Feb 2017, 11:40 AM

ডি কক, ডি ভিলিয়ার্সদের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছিল ২৭১। নিউ জিল্যান্ড গুটিয়ে গেছে ১১২ রানেই। তৃতীয় ওয়ানডেতে ওয়েলিংটনে ১৫৯ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা, পরেরটি নিউ জিল্যান্ড।

আগের ম্যাচে হারের পর ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব নিয়ে খেলতে বলেছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এদিন সেটি করে দেখালেন নিজেই।

শুরুটা ডি ককের হাত ধরে। হাশিম আমলা ফিরেছেন ৭ রান করে, ডি ককের সৌজন্যে তবু উদ্বোধনী জুটি ৪১ রানের। দ্বিতীয় উইকেটে ফাফ দু প্লেসির সঙ্গে ডি ককের জুটিতে এসেছে ৭৩।

কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের জোড়া আঘাতে মাঝে একটু থমক যায় প্রোটিয়ারা। ৩৬ রানে দু প্লেসিকে ফেরানোর পর ডি কককেও ফিরিয়ে দেন ডি গ্র্যান্ডহোম।

ততক্ষণে অবশ্য ৭০ বলে ৬৮ করে ফেলেছেন ডি কক। টানা পাঁচ ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁয়ে ডি কক স্পর্শ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে জন্টি রোডসের রেকর্ড। টানা ৯ ইনিংসে অর্ধশতকের বিশ্বরেকর্ড জাভেদ মিয়াঁদাদের।

ডি কক ফেরার পরই ডি ভিলিয়ার্সের শুরু। জেপি দুমিনি কাটা পড়েন রান আউটে। ডেভিড মিলার ও ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসও টেকেননি। দলকে টেনে নেন ডি ভিলিয়ার্স।

শেষ দিকে সঙ্গী পান ওয়েইন পার্নেলকে। সপ্তম উইকেটে দুজনে গড়েন ৬৪ বলে ৮৪ রনের জুটি।

৫ রানের মাথায়ই ৯ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ডি ভিলিয়ার্স। গড়েন সবচেয়ে কম ইনিংসে, সবচেয়ে কম বলে ও সবচেয়ে বেশি গড় নিয়ে ওই মাইলফলক গড়ার রেকর্ড।

প্রোটিয়া অধিনায়ক আউট হয়েছেন শেষ ওভারে। নামের পাশে তখন ৮০ বলে ৮৫ রান। শেষ বলে রান আউট হওয়া পার্নেল করেছেন ৩২ বলে ৩৫।

পার্নেল পরে বল হাতেও দলকে এনে দেন প্রথম সাফল্য। নতুন বলে দুর্দান্ত বোলিং করেন কাগিসো রাবাদা। তরুণ পেসার আন্দিলে ফেলুকওয়েয়ো নিজে পরপর দুই ওভারে তুলে নেন কেন উইলিয়ামসন ও নিল ব্রুমকে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রস টেইলরকে ফেরান প্রিটোরিয়াস।

৫৮ রানে ৬ উইকেট হারায় কিউইরা। নিউ জিল্যান্ডকে তখন চোখ রাঙাচ্ছে দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড (৭৩)। শেষ পর্যন্ত সেটি হয়নি। ডি গ্র্যান্ডহোমের ৩৪ বলে ৩৪ রানে একশ ছাড়াতে পারে তারা।

নিজেদের মাটিতে পরাজয়ের ব্যবধানটি তার পরও কম বিব্রতকর নয়!

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ২৭১/৭ (ডি কক ৬৮, আমলঅ ৭, দু প্লেসি ৩৬, ডি ভিলিয়ার্স ৮৫, দুমিনি ১৬, মিলার ৩, প্রিটোরিয়াস ১১, পার্নেল ৩৫, ফেলুকওয়েয়ো ১*; সাউদি ১/৬৬, বোল্ট ১/৪৭, ফার্গুসন ১/৭১, ডি গ্র্যান্ডহোম ২/৪০, স্যান্টনার ১/৪৫)।

নিউ জিল্যান্ড: ৩২.২ ওভারে ১১২ (ব্রাউনলি ২, ল্যাথাম ০, উইলিয়ামসন ২৩, টেলর ১৮, ব্রুম ০, নিশাম ১৩, স্যান্টনার ১, ডি গ্র্যান্ডহোম ৩৪*, সাউদি ৫, ফার্গুসন ৪, বোল্ট ৪; রাবাদা ২/৩৯, পার্নেল ২/৩৩, ফেলুকওয়েয়ো ২/১২, প্রিটোরিয়াস ৩/৫, তাহির ১/২৩)।

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৫৯ রানে জয়ী

সিরিজ: ৫ ম্যাচ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-১ এ এগিয়ে

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: এবি ডি ভিলিয়ার্স।