শেষ দিনের নায়ক শুভাগত

আগের রাউন্ডে ১০ উইকেট ও সেঞ্চুরির অসাধারণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সেও দলকে জেতাতে পারেননি শুভাগত হোম। এবার শেষ দিনে দারুণ বোলিং করে মধাঞ্চলকে এনে দিলেন প্রথম জয়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Feb 2017, 11:36 AM
Updated : 22 Feb 2017, 03:51 PM

ম্যাচ বাঁচাতে শেষ দিনে ৮৫ ওভার মত টিকে থাকতে হতো। পূর্বাঞ্চল পারেনি ধারে কাছে যেতে। মধ্যাঞ্চল জিতেছে ২২৭ রানে। এবারের বিসিএলে চার ম্যাচে তাদের এটি প্রথম জয়।

৪ উইকেট নিয়েছেন শুভাগত। চার ম্যাচে টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ ২২ উইকেট তার। দুই পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মোহাম্মদ শরীফও করেছেন দারুণ বোলিং।

আগের দিনই জয়ের কাজ এগিয়ে রেখেছিল মধ্যাঞ্চল। শেষ দিন সকালে মাত্র ১৫ বল খেলেই ইনিংস ঘোষণা করে তারা। পূর্বাঞ্চলের লক্ষ্য ৪০০, তবে মূল লক্ষ্য টিকে থাকা। করতে পারেনি তারা লড়াইও।

কামরুল ইসলাম রাব্বি শুরুতেই ফেরান লিটন দাসকে। অনিয়মিত বাঁহাতি স্পিনার তাইবুর পারভেজের শিকার অভিজ্ঞ ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন। শুভাগত আক্রমণে আসার পর আরও এলোমেলো ইনিংস। পরপর দুই ওভারে এই অফ স্পিনার ফেরান তরুণ জাকির হাসান ও বড় ভরসা মুমিনুল হককে।

এরপর ছিল স্রেফ শেষের অপেক্ষা। শুভাগত পরে আফিফ ও আবুল হাসানকেও তুলে নেন। যা একটু লড়েছেন কেবল অলক কাপালি। টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে করেছেন প্রথম অর্ধশতক।

৭১ রান করা কাপালিসহ শেষ দুটি উইকেট নিয়ে পূর্বাঞ্চলকে গুটিয়ে দেন শরীফ।

শেষ দিনের নায়ক শুভাগত হলেও ম্যাচের নায়ক এই শরীফ। ব্যাট হাতে ৭০ রানের মহামূল্য ইনিংস আর দুই ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচের সেরা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৩২৮

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২১১

মধ্যাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৬৯.৩ ওভারে ২৮২/৭ (ইনিংস ঘোষণা) (আগের দিন ২৬৬/৫) (তাইবুর ৫৭, নুরুল ৪৫, শরিফ ১*; আবুল হাসান ১/২৯, আবু জায়েদ ০/৪১, এবাদত ২/৪৭, আফিফ ০/৩১, সাকলাইন ০/৩৫, অলক ২/৫২, মুমিনুল ২/৩৯)।

পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৪০০) ৫৬.২ ওভারে ১৭২ (ইমতিয়াজ ১৯, লিটন ১০, মুমিনুল ১৯, জাকির ৭, ইয়াসির ৩, অলক ৭১, আফিফ ১০, আবুল হাসান ২৩, সাকলাইন ১, আবু জায়েদ ২*, এবাদত ৪; শরীফ ২/১৯, রাব্বি ২/৪০, আবু হায়দার ০/১১, তাইবুর ২/২৪, শুভাগত ৪/৪৬, মোশাররফ ০/৩০)।

ফল: মধ্যাঞ্চল ২২৭ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ শরীফ